পুবের কলম প্রতিবেদকঃ উৎসবের মরশুমে শহরে ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। এই অবস্থায় পুনরায় শহরের সেফ হোম ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খুলতে উদ্যোগী কলকাতা পুরসভা। সোমবার থেকে চালু করা হচ্ছে তোপসিইয়ার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার– এ ছাড়া ট্যাংরা চম্পা মনি মাতৃ সদন সেফ ও হরেকৃষ্ণ শেঠ লেন সেফ হোম খোলা হচ্ছে। এর মধ্যে হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনের সেফ হোমটি শিশু ও মায়েদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে।
প্রত্যেকদিনই শহরে যে হারে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তা নিয়ে চিন্তিত পুরকর্তৃপক্ষ। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর– গত ২৪ ঘন্টায় শহরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। এর মধ্যে কলকাতা পুরসভা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৫০ জন যারা করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রথম ডোজ নিয়েছেন এমন আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ জন। টিকা নেননি এমন আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ জন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী– ১৬ জানুয়ারি থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় কোভিশিল্ড ডোজ দেওয়া হয়েছে ১১ লক্ষ্য ১৭ হাজার ৯৯। কো ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে ৬৩ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৭৭। স্পুটনিক ডোজ দেওয়া হয়েছে ৪৫ হাজার ৪৪৩। এ দিকে কলকাতায় আক্রান্তের রিপোর্ট অনুযায়ী খুবই স্পষ্ট– যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের ৫০ শতাংশেরই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া হয়ে গেছে।
চএই পরিসংখ্যান হাতে আসার পরই দ্রুত বৈঠকে বসে পুরকর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি বৈঠকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগকেও ডাকা হয় বৈঠকে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে– যেখানে যেখানে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে– সেই এলাকা চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে টেলিকলিং ব্যবস্থা শুরুর কথাও বলা হয়েছে। স্যানিটাইজেশনের কাজ সঠিকভাবে চালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয় সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগকে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত– প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানান– পরিসংখ্যান অনুসারে শহরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে– অনেকেরই বাড়িতে থাকার অসুবিধা। ফলে পুরসভাও সেফ হোম– কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিকে প্রস্তুত রাখছে। হঠাৎ যাতে চাপ না পড়ে– তার জন্য এই উদ্যোগ। প্রথমে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও দুটি সেফ হোম খোলা হচ্ছে– পরে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও সেফ হোম বা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে কিনা।