পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম কাফেতে বোমা ফেটে জখম হয় প্রায় ২০ জন। কেউ নিহত না হলেও কিন্তু বোমায় ব্যবহার হয় মারাত্মক বিস্ফোরক আর পরীক্ষা করার পর মামলা দেওয়া হয় এনআইএ-র হাতে। পশ্চিম বাংলা থেকে গ্রেফতার হয় দু’জন। এনআইএ শুক্রবার জানিয়েছে, এই দু’জন হল মুসাবির হোসেন, শাহজেব ও আবদুল মাতিন আহমদ তাজা। রাজ্য পুলিশের সহায়তায় পূর্ব-মেদিনীপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মেট্রোপলিটন কোর্টে নেওয়ার আগে বিধাননগরে সরকারি হাসপাতালে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
অবশ্য এই দু’জনকে গ্রেফতারের আগে এনআইএ আরও যে দু’জনকে গ্রেফতার করে তাদের মধ্যে আবার একজন বিজেপির সক্রিয় কর্মী সাই প্রাসাদ। তাকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর এই গ্রেফতার নিয়ে কংগ্রেস মুখর হয় বিজেপির সমালোচনায়। এনআইএ সাই প্রাসাদকেও মাস্টারমাইন্ড ঘোষণা করেছিল। তার আগে গ্রেফতার হয় মুজাম্মিল শরীফ। দুই দুষ্কৃতীকে থাকার জায়গা ব্যবস্থা করার অভিযোগ দেওয়া হয়। মুজাম্মিল শরীফ ও সাই প্রসাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দু’জনের নাম জানতে পারে এনআইএ। দু’জনের ছবি ছাপিয়ে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল।
মুসাবির ও মাতিনের বাড়ি কর্নাটকে একজন শিবমোর্গা ও অপরজন তির্থাহাল্লি জেলার এনআইএ-র বয়ান অনুযায়ী এরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। একজন ওড়িশা হয়ে কলকাতা আসে, আর অপরজন তামিলনাড়ু থেকে আসে কলকাতায়। এনআইএ তাদের জন্য কর্নাটকের ১২টি জায়গায় ছাপা মারে, তামিলনাড়ুর পাঁচ জায়গায় এবং উত্তরপ্রদেশের এক জায়গায় ছাপা মারা হয়। নিজেদের নাম পরিবর্তন করে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল এই দু’জন বলে জানিয়েছে এনআইএ।
তবে বিজেপি কর্মী সাই প্রাসাদের কী ভূমিকা রয়েছে, এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি শুধু জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে। কিন্তু পশ্চিম বাংলা থেকে দু’জনের গ্রেফতারি নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গেছে।
বিজেপি নেতারা বলছে, পশ্চিমবাংলা নাকি সন্ত্রাসীদের নিরাপদ ঘাঁটি তৈরি হয়েছে। আর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, রাজ্য পুলিশের মদদেই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারের সভা থেকে বলেন, পুলিশের চেষ্টায় মাত্র দু’ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বিজেপি যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সেই সব রাজ্যের কী অবস্থা? মমতা বলেন, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি ও গুজরাতের অবস্থা কি? তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা রাজ্যের বদনাম ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
পূর্ব-মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সোম্যদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ্য পুলিশ ও এনআইএ-র যৌথ অভিযানে এই গ্রেফতার সম্ভব হয়েছে। অবশ্য এনআইএ জানিয়েছে, এই দু’জনের মোবাইল কল লিস্ট যাচাই করে দেখা হচ্ছে আর কারা জড়িত রয়েছে এই সন্ত্রাসী দলে।