পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আইপিএলে অনলাইন বেটিং-এ ১ কোটি খুইয়ে সর্বস্বান্ত স্বামী । পাওনাদারদের হেনস্থার জেরে আত্মঘাতী স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের চিত্রদুর্গে। মৃতার নাম রঞ্জিতা ভি। বয়স ২৪।
জানা গেছে, স্বামী দর্শন বালু ২০২১ সাল থেকে জুয়া খেলা শুরু করেন। হললকেরের বাসিন্দা তিনি। চিত্রদুর্গার হোসাদুর্গায় রাজ্যের সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ার দর্শন।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত অনলাইন ক্রিকেট বেটিং চক্রে বিপুল অঙ্কের টাকা ঢেলেছেন তিনি। যার জেরে বাজার থেকে প্রায় ১ কোটি টাকার ঋণ পর্যন্ত নেন দর্শন। কিন্তু কোনও বারেই জিততে পারেন নি। এবারেও তাই হয়। এদিকে পাওনা টাকা ফেরতের জন্য ক্রমাগত চাপ দিচ্ছিলেন পাওনাদাররা। এমনকি বাড়ি বয়ে এসে তারা মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। অপমান সহ্য করতে না পেরে ২ বছরের সন্তান রেখে আত্মঘাতী হয় দর্শনের স্ত্রী। আত্মহত্যার পর একটি সুইসাইড নোট পায় পরিবার। যাতে পাওনাদারদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনে। এই ঘটনায় রঞ্জিতার বাবা ভেঙ্কটেশ এম ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে জারি তল্লাশি। ভেঙ্কটেশের দাবি, তাঁর জামাই নির্দোষ। অল্প সময়ে প্রচুর টাকা উপার্জনের লোভ দেখিয়ে দর্শনকে জুয়া খেলায় অভ্যস্ত করেছিল অভিযুক্তরা। তারাই দর্শনকে টাকা দিত বলে দাবি মৃতার বাবার। কিন্তু একবারও জিততে পারেননি দর্শন। এর পরই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দিতে শুরু করেন পাওনাদাররা। সেই চাপ নিতে না পেরে আত্মঘাতী হন দর্শনের স্ত্রী। এমনকি দেড় কোটির মধ্যে প্রায় ১ কোটি টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন দর্শন। ৫৪ লক্ষ টাকা দেনা বাকি ছিল। তার পরেও পাওনাদারদের জুলুমবাজি শেষ হচ্ছিল না। চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছে তাঁর মেয়ে।
জুয়া সমাজবিধ্বংসী এক নেশা। ইসলামে জুয়া এবং তা থেকে অর্জিত টাকাপয়সা সম্পূর্ণরূপে হারাম। পবিত্র কুরআন শরীফে একে শয়তানি কাজ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, প্রতিমার বেদি ও জুয়ার তিরসমূহ অপবিত্র, শয়তানি কাজ। সুতরাং এসব পরিহার করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।’ (সূরা মায়িদা: ৯০)