নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ: সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দুই ভাইয়ের এক হওয়ার ভিডিও দেখলে চোখে এমনিতেই জল আসবে।মন ছুঁয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা। দেশভাগের সময় ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বহুবার দেখেছে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা। তবে এবার সেই সীমানায় কার্তারপুর দেখল বিচ্ছেদ কাটিয়ে পুর্নমিলনের আনন্দাশ্রু! এই ঘটনা হাবিব ও সিদ্দিকের। যে দুইভাইকে বিচ্ছিন্ন করেছিল ১৯৪৭ সালের দেশভাগ।
১৯৪৭ থেকে ২০২১ , মাঝখানের সময়ে সিন্ধু-শতদ্রু দিয়ে বয়ে গিয়েছে জল। দেশভাগের কাঁটা তারের বেড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়েছেন ততদিনে বহু মানুষ। বিচ্ছিন্ন হয়েছে বহু ভাই। এমনই দুই ভাই সিদ্দিক ও হাবিব। বর্তমানে সিদ্দিক পাকিস্তানের ফৈজলাবাদের বাসিন্দা। আর হাবিব থাকেন পঞ্জাবের ফুল্লানওয়ালে। আর দুই ভাই ৭৪ বছর পর একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেন কার্তারপুর করিডরে। ভারত-পাক সীমান্ত লাগোয়া, পাকিস্তানের গুরু দরবার সাহিবে এই মিলন দৃশ্য ততক্ষণে আনন্দাশ্রু এনে দিয়েছে বহুজনের চোখে। জানা যায়, দেশভাগ যখন হয়েছিল, তখন সিদ্দিক খুবই ছোট। সে পাকিস্তানে বড় হতে থাকে। আর বাবার সঙ্গে ভারতের বুকে বেড়ে উঠতে থাকে বড় ভাই হাবিব। ফের একবার ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে উচ্ছ্বসিত হাবিব ফিরে যান ছোটবেলার কথায়। প্রবীণ এই ভারতীয় প্রশংসা করেন এমন মিলনের নেপথ্যে থাকা উদ্যোগের। ভাইকে জানান, এই করিডর দিয়েই ফের তাঁরা দেখা করবেন।
পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে মহম্মদ সিদ্দিক ও হাবিব কর্তারপুর করিডর খোলার জন্য দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ২০১৯ সালে এই কার্তারপুর করিডর চালু হয়েছে। দুই দেশের সীমান্ত থেকে ৫ কিমি দূর পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত ভ্রমণের সুবিধা পাওয়া যায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে।
কর্তারপুর করিডোর প্রকল্পের সিইও মহম্মদ লতিফ জানিয়েছেন, দুই ভাই যখন একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, তখন তাদের দুজনেরই জোরে কান্নার শব্দ শোনা যায়।কীভাবে তাঁরা রুটি ভাগ করে খেতেন, সেই কথাও বলছেন তাঁরা। একদিনে প্রায় ৫০০ ভারতীয়কে শ্রী করতারপুর সাহেবে আনার ব্যবস্থা ছিল, কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা ২০০-এর কম।