পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃবছর কারাবাসের পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেলেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রাজীব গান্ধির হত্যাকারি পেরারিভালন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মুক্তি পেলেন পেরারিভালন। পেরারিভালনের মুক্তির জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করে তামিলনাড়ু সরকার। তারই রায় বুধবার দিল শীর্ষ আদালত।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের ১৪২ ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও-এর নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ, তার রায়ে, পেরারিভালানের মুক্তির আদেশ দেন। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধি হত্যার দায়ে প্রথমে মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করা হলেও পরে তা রদ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। আদালত জানায় যে পেরারিভালানকে ক্ষমা করার জন্য ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮-এ তামিলনাড়ু মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শ সংবিধানের ১৬১ ধারা মোতাবেক (গভর্নরের ক্ষমার ক্ষমতা) অধীনে রাজ্যপালের কাছে পাঠানো বাধ্যতামূলক ছিল।
বর্তমানে জামিনে আছেন পেরারিভালন। তবে তিনি চেয়েছিলেন স্থায়ী মুক্তি। সুপ্রিম কোর্টের বিচারতিরা তাদের পর্যবেক্ষণে জানান বিগত ৩০ বছর কারাবন্দি থাকার সময় পেরারিভালনের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ সংগঠনের রেকর্ড নেই। এমনকি তিনি যে সময়টা জামিনে ছিলেন সেই সময়তেও পালিয়ে যাওরার চেষ্টা করেননি বা কোন অপরাধ সংঘটিত করেননি।
২০০৮ সালেই তামিলনাড়ু সরকার রাজীব হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামীকে মুক্তি দেয়। এরপর এই স্পর্শকাতর মামলাটি রাষ্ট্রপতির বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ শুনানির পর ১০ মে পর্যন্ত পেরারিভালন মামলার রায় স্থগিত রাখে দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট সেই মামলার রায় ঘোষণা করল।