বিশ্বব্যাঙ্ক মনে করে; যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারে ২০৫০ সালের মধ্যে উত্তর আফ্রিকার ১৯.৩ মিলিয়ন মানুষ ও বিশ্বব্যাপী ২১৬ মিলিয়ন মানুষ অভ্যন্তরীনভাবে বাস্তুচ্যুত হবে। (হাইলাইটস)
বিশেষ প্রতিবেদন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার হুমকিতে রয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাত; কঠোর তাপপ্রবাহ এবং ভয়াবহ খরা আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যকে বিশ্বের সবচেয়ে পানিশূন্য অঞ্চলে পরিণত করেছে।
এ অঞ্চলের দেশগুলো এখন বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক দেশগুলোর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। নভেম্বরে মিশরে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মিশরের কৃষকদের সিন্ডিকেটের প্রধান হোসেন আবু সাদ্দাম বলেন; তিনি নিজেই গ্রামাঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ প্রভাবের সাক্ষী।
নতুন জলবায়ুজনিত বিপদের কারণে মিশরের কৃষি আরও কম লাভজনক হয়েছে। মিশর এখন বিশ্বের সবচেয়ে শুষ্ক দেশগুলোর মধ্যে একটি। বলা হচ্ছে; মিশরের মতো দেশগুলো এখন পরজীবী হয়ে উঠছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারে ক্ষুধা; দারিদ্র্য বাড়ছে।
আবু সাদ্দাম বলেন; গ্রামের যুবকরা কারখানায় কাজ করার জন্য বিদেশে বা বড় শহরে পাড়ি জমাচ্ছে। রাষ্ট্রসংঘর শরণার্থী সংস্থা বলছে; প্রায় ৯০ শতাংশ শরণার্থী এমন দেশ থেকে আসে; যেসব দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না।
এই দেশগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও কম প্রস্তুত। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের উপপরিচালক অ্যামি পোপ বলেন; ‘মানুষ যদি কৃষিকাজ করতে না পারে; কাজ করে খেতে না পারে; খাবার খুঁজে না পায়; তাহলে তাদের কাছে বাস্তুচ্যুতির কিছু বিকল্প আছে বলে মনে হয় না।’
২০২১ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। যতদিন যাচ্ছে; পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। গবেষকরা ভবিষ্যদ্বাী করেছেন; ২০৬০ সালের মধ্যে মিশরের কৃষিখাত ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হতে পারে। সেন্টার ফর ইকোনমিকস রিসার্চ ফেলো ফ্লোরিয়ান বোনেফোইয়ের মতে; ‘কৃষি উৎপাদন হ্রাস’ ছাড়াও গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসন বৃদ্ধি পাচ্ছে; শহুরে জীবনের প্রতি আকর্ষণ সৃষ্টি হচ্ছে।