দেবশ্রী মজুমদার, নলহাটি: ব্রাহ্মণী নদীতে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধে তৎপর হলো প্রশাসন। ঘটনা স্থল পরিদর্শনে যান জয়েন্ট বিডিও বিধান হাওলাদার এবং বি এল আরও অনিমেষ সাহা। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসন সারা জেলা জুড়ে অবৈধ বালির ঘাটে কড়া নজরদারি শুরু করেছে। যাতে করে অবৈধ বালি উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ করা যায়। বিভিন্ন জায়গাই জেলা প্রসাশন অভিযানও চালায়। কারণ এই অবৈধ বালির ঘাটে বালি উত্তোলনের ফলে একদিকে বাদ পড়ছে সরকারি রাজস্ব এবং পাশাপাশি প্রকৃত টেণ্ডার প্রাপকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
সোমবার নলহাটি দুই ব্লকের শীতল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন বলরামপুরে ব্রাহ্মণী নদী থেকে প্রশাসনের অগোচরে বালি তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এর ফলে নদী তীরবর্তী গরীব মানুষেরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কারণ এভাবে বালি তোলার ফলে যেমন ধানি জমি নদীতে হারিয়ে যাবে। চাষের ক্ষতি। তেমনি বন্যার সময় প্লাবনে সহজেই নদীর পাড় ভেঙে প্লাবিত হবে গ্রামের পর গ্রাম। এলাকার বাসিন্দা মানিক লেটের বাড়ি নদীর ধারেই। তিনি বলেন, যেভাবে বালি তুলে নেওয়া হচ্ছে, একদিন বাড়ি ঘর ছেড়ে পালাতে হবে। বন্যা হলে আমাদের আর রক্ষা নেই।
ফুলেশ্বরী লেট বলেন, আগেও এলাকার মানুষ বালি তোলা নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু বালি মাফিয়ার লোক গ্রামের মানুষকে মারধোর করেছে। এখন ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করে না। এব্যাপারে নলহাটি দুই ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, অবৈধভাবে বালি তোলা নিয়ে আজ আমার কাছে এলাকা থেকে ফোন আসে। তড়িঘড়ি জয়েন্ট বিডিও বিধান হাওলাদার এবং বি এল আরও অনিমেষ সাহাকে ঘটনা স্থলে পাঠানো হয়। তাঁদের কাছ থেকে জেনেছি বালি তোলা শুরু হয়েছে। এলাকাটি আমার ব্লকের শেষ প্রান্তে। তাই আমাদের নজরদারি এড়িয়ে বালি তোলা শুরু করেছিল। তবে তৎপরতার সাথে প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, এলাকায় দুজন সিভিক পুলিশ নজরদারির জন্য রাখতে।