পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : উত্তরপ্রদেশে ফের খবরের শিরোনামে বুলডোজার তত্ত্ব। সোমবার অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে এবার সেই বুলডোজারের মুখোমুখি হল এক বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত ত্যাগীর সম্পত্তি। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ত্যাগীর অবৈধ নির্মাণ।
ওই বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে এক মহিলাকে হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে গড়িমসি করলেও পরে এক রকম বাধ্য হয়ে শ্রীকান্ত ত্যাগীর নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে। পরে নয়ডার পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে গ্যাংস্টার আইনেও অভিযোগ দায়ের করে। এই আইনে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে প্রশাসন নয়ডার সেক্টর ৯৩ বি-তে গ্র্যান্ড ওম্যাক্স সোসাইটিতে পৌঁছে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত ত্যাগীর সম্পত্তিতে অবৈধ কাঠামো ভেঙে দেয়। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক শ্রীকান্ত ত্যাগী।
क्या इतने सालों से भाजपा सरकार को नहीं पता था कि नोएडा के भाजपा नेता का निर्माण अवैध है? बुलडोजर कार्रवाई दिखावटी है। इन सवालों के जवाब से सरकार बच रही है
एक महिला के साथ खुलेआम अभद्रता व 10-15 गुंडे भेजकर महिलाओं को धमकाने की हिम्मत उसे कौन दे रहा है? कौन है जो उसको बचाता रहा? pic.twitter.com/3tICtFylMw
— Priyanka Gandhi Vadra (@priyankagandhi) August 8, 2022
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য পুলিশ শ্রীকান্ত ত্যাগীর কয়েকজন সমর্থককে আটক করেছে। ঘটনার ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরেই গা ঢাকা দিয়েছেন শ্রীকান্ত ত্যাগী। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে শ্রীকান্ত ত্যাগীর কোনও খবর দিতে পারলেই ২৫ হাজার টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনায় এবার সরব হলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা। প্রিয়াঙ্কা একটি ট্যুইট করে বলেন, ‘বিজেপি সরকার কি এত বছর জানত না যে নয়ডায় বিজেপি নেতার অবৈধ নির্মাণ রয়েছে? বুলডোজার অ্যাকশন হল আসলে বিজেপির একটা ভণ্ডামি। সরকার এসব প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছে। একজন নারীকে প্রকাশ্যে ১০-১২ জন গুন্ডা পাঠিয়ে হেনস্থা করার সাহস কে দিচ্ছে? কে তাকে বাঁচাচ্ছে? কার সুরক্ষায় তার অবৈধ ব্যবসা বেড়েছে?’
উল্লেখ্য, প্রতিবেশী মহিলার সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত ত্যাগীর বিরুদ্ধে। মূলত ওই মহিলার চরিত্র নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন বিজেপির ওই কর্মী। অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী শ্রীকান্ত ত্যাগী নয়ডার গ্র্যান্ড ওমাক্সে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা। ওই একই আবাসনেই থাকেন অভিযোগকারী মহিলা। ওই আবাসনে শ্রীকান্তের লাগানো কিছু গাছের বিষয়ে আপত্তি জানান নিগৃহীতা। তার পরেই দুজনের মধ্যে বচসা বাধে। পরিস্থিতি একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছয় ওই মহিলার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন বিজেপির ওই কর্মী। তাঁর অভিযোগ শ্রীকান্ত ত্যাগী অবৈধভাবে আবাসনের জায়গা দখল করেছেন। ঘটনা মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তারপর শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে লিখিত মামলা দায়ের হয়।
তবে প্রথমেই পুলিশ শ্রীকান্ত ত্যাগীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। ওই আবাসনের থানা ফেস-২ ওই এলাকায় পড়ে। ওই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুজিত উপাধ্যায় এই বিষয়ে কোনও অভিযোগই নিতে চাননি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে, সুজিতকে বরখাস্ত করে পরমহংস তিওয়ারিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারপরই বুলডোজার অ্যাকশনে নামে প্রশাসন। শ্রীকান্ত ত্যাগীর নির্মাণের মধ্যে অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।