পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: একের এর এক সংবাদমাধ্যম অধিগ্রহণ করছেন গৌতম আদানি। গত বছর এনডিটিভির ৬৫ শাতাংশের মালিকানা চলে যায় আদানি গোষ্ঠীর হাতে। এবার সংবাদ সংস্থা আইএএনএস (ইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিস) এর ৫৫.৫০ শতাংশ অধগ্রহণ করল আদানির এএমজি মিডিয়া নেটওয়ার্কস লিমিটেড।
কত টাকার বিনিময়ে এই অধিগ্রহণ হয়েছে, তা অবশ্য জানাতে নারাজ আদানির সংস্থা। এবার থেকে সংবাদসংস্থাটির ম্যানেজমেন্ট কন্ট্রোল থাকবে আদানিদের হাতে। ডিরেক্টর নিয়োগ করবেন তারাই।
হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর জানা যায়, অনৈতিকভাবে নিজেদের স্টকের দাম বাড়িয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এরপর শেয়ার বাজারে বড় আঘাত খায় তারা। আন্তর্জাতিক বাজারে ভাবমূর্তি নষ্ট হয় আদানি গ্রুপের। ভাবমূর্তি ফেরাতে তারা একের পর এক সংবাদমাধ্যম কব্জা করতে চাইছে বলেও মনে করা হচ্ছে।
আদানির এনডিটিভি কেনার পর সংবাদমাধ্যমটির সঙ্গে সব সম্পর্ক ত্যাগ করেন রবিশ কুমার। একই পথে পা দেন পর পর বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক। এমনকি সরকার ঘেঁষা খবর দেখে দর্শকদের অনেকেই এনডিটিভির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করে। হঠাৎ করেই কমে যায় ভিউয়ার।
১৯৮৮ সালে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন গৌতম আদানি। কিন্তু কেউই তাকে সেভাবে চিনত না। গত দশ বছরে হঠাৎই ফুলে ফেঁপে ওঠে আদানির ব্যবসা। সেই সাফল্য এমন জায়গায় পৌঁছায়, যে বিশ্বের ধনীতমদের তালিকায় স্থান পেয়ে যান আদানি। অবলীলায় পিছনে ফেলে দেন আম্বানি, টাটাদের।
এই নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন রাহুল গান্ধি থেকে মহুয়া মৈত্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে গৌতম আদানির বোঝাপড়া আছে, এমন অভিযোগ বারবার তোলে কংগ্রেস। এই আদানি প্রসঙ্গেই প্রশ্ন করার পর সাংসদ পদ খোয়ান মহুয়া মৈত্র।
গত ডিসেম্বরের আগেও কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করত এনডিটিভি। কিন্তু আদানিদের ৬৫ শতাংশ অধিগ্রহণের পর হঠাৎই যেন ইউ টার্ণ নেয় তারা। নিজেদের অবস্থান প্রায় ১৮০ ডিগ্রি বদলে দিয়ে এখন অন্যান্য গোদি মিডিয়াদের মতই সরকারকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করছে এনডিটিভি। এবার সংবাদ সংস্থা আইএএনএস এর ভবিষ্যতও ভাবাচ্ছে সংবাদ ও রাজনৈতিক মহলকে। কারণ এতদিন সংবাদ পরিবেশনের নিরপেক্ষতার জন্য পরিচিত ছিল আইএএনএস।