পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ভারত জোড়ো যাত্রাকেই কর্নাটক নির্বাচনে সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি বলে মেনে নিচ্ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি সহ দলের নেতারা। দলের জেনারেল সেক্রেটারি জয়রাম রমেশ বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেসের জয়ের জন্য সঞ্জীবনী। এই যাত্রা সংগঠনকে শক্তিশালী করা সহ নেতা ও কর্মীদের মধ্যে গভীর ঐক্য ও সংহতির অনুভূতি জাগিয়েছে।”
কংগ্রেসের মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান, কংগ্রেস নেতা পবন খেরা বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রা ভারতীয় রাজনীতিতে একটি বিশেষ আখ্যানের সূচনা করেছিল, যার জন্য ভারতের মানুষ এতদিন অপেক্ষা করেছে। কর্নাটকে ভারত জোড়ো যাত্রা প্রায় ২২ দিন অতিবাহিত করেছিল। আপনি যদি ভারত জোড়ো যাত্রার দৃশ্যগুলি মনে রাখেন তাহলে দেখবেন রাহুল গান্ধি বৃষ্টিতে ভিজে তার মধ্যেও বক্তৃতা চালিয়ে গেছেন। আমি মনে করি এই দৃশ্যগুলি মানুষের মনে রয়ে গেছে।” রাহুলের পাশাপাশি প্রিয়াঙ্কা গান্ধিকেও কর্নাটকে কংগ্রেসের সাফল্যের জন্য কৃতিত্ব দেন খেরা।
পবন খেরা বলেন, কংগ্রেসের এই সাফল্যের পিছনে মল্লিকার্জুন খারগের মতো একজন বর্ষীয়ান, দক্ষ রাজনীতিবিদের পরামর্শ বিশেষভাবে কাজে লেগেছে। আমি মনে করি, নরেন্দ্র মোদি বনাম ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, সেখানে ভারত জোড়ো যাত্রার জয় হয়েছে। এই যাত্রার সময় দেশের সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন সমস্যার কথাগুলি তুলে ধরতে পেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর নির্বাচনী কর্মসূচি ঘিরে যে ঘৃণাভাষণ দিয়েছিলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
পবন খেরা আরও বলেন, বড় জয় মানে দেশের জন্য অনেক কিছু। এর অর্থ হল দেশ ঐক্যবদ্ধ হতে মরিয়া। যারা দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে দেশ।
কংগ্রেসের মুখপাত্র শামা মুহাম্মদ বলেন, তিন মাসে কন্যাকুমারি থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত তিনহাজার কিলোমিটার পদযাত্রা করেছেন রাহুল গান্ধি। এই পরিক্রমা অনেক দেশের অনেক পরিবর্তন এনেছে।