পুবের কলম, ওয়েবডেস্ : বিশ্বের সভ্য দেশগুলির মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শিক্ষা, ঐতিহ্য, আর্থিক উন্নয়ন, প্রাচুর্য, দেশের সামগ্রিক পরিকাঠামো সব দিক দিয়ে এই দেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে বলে দাবি করে থাকেন মার্কিন রাষ্ট্রনায়করা। কিন্তু সেই দেশেই এক কলঙ্কিত কাজ করে বসলেন নিজেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু বলে দাবি করা এক ব্যক্তি।
ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরু বহুবিবাহে বিশ্বাসী। স্ত্রীয়ের সংখ্যা ‘মাত্র’ ২০। এমনকী নিজের ১০ বছরের কন্যাকেও বিয়ে করেছেন তিনি।
ফেডারাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)-এর তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ওই স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম র্যাপিলি বেটম্যান। তার স্ত্রীয়ের সংখ্যা ২০। এর মধ্যে রয়েছে তার ১০ বছরের কন্যা। তাকেও বিয়ে করেছেন তিনি। মার্কিন ভিত্তিক বহুবিবাহবাদী সম্প্রদায়ের একজন নেতা এই র্যাপিলি বেটম্যান। নিজের মেয়েকে বিয়ে করার ঘটনায় চমকে উঠেছে গোটা বিশ্ব। ৪৬ বছর বয়সী র্যাপিলি বেটম্যানের প্রায় সব স্ত্রীরাই নাবালিকা। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ১৫-এর নীচে। র্যাপিলি বেটম্যান লেটার-ডে সেন্টসের জেসাস ক্রাইস্টের মৌলবাদী চার্চের বহুবিবাহবাদী মোরন গোষ্ঠীর একজন ধর্মীয় নেতা।
এফবিআই-এর রিপোর্ট অনুসারে, প্রথমে বেটম্যান নিজের অনুগামীদের নিয়ে একটি ছোট দল তৈরি করেন। পরে ২০১৯ সালে তিনি নিজেকে স্বঘোষিত ধর্মগুরু বলে দাবি করতে শুরু করেন। সেই সময় এক নথি পেশ করে জানান, তিনি তার ১০ বছরের কন্যাকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাপিলি বেটম্যানের কলোরাডো শহরের দুটি বাড়িতে অভিযান চালায় এফবিআই। তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে অ্যারিজোনা জেলে বন্দী র্যাপিলি বেটম্যান। র্যাপিলি বেটম্যানের বিরুদ্ধে বহু বিবাহ ছাড়াও একাধিক যৌন সংসর্গের অভিযোগ জমা পড়ে স্থানীয় সূত্রে। তদন্তে নামে মার্কিন তদন্ত সংস্থা এফবিআই। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই র্যাপিলি বেটম্যানের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় করতে শুরু করে তদন্ত সংস্থা।
এর পরেই দেশের বাইরে মেয়ে পাচারের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তিনটি শিশুকে যৌন হেনস্থা সহ নাবালিকাদের অ্যারিজোনা, উটাহ, নেভাদা এবং নেব্রাস্কায় পাচারের তথ্য রয়েছে। ইতিমধ্যেই একবার জামিন পায় এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু। পরে তাকে আবার অন্য একটি অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। সেই সময়ই প্রমাণের জন্য র্যাপিলি বেটম্যানের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।