দেবশ্রী মজুমদার,বোলপুর,বিশ্বভারতীর আচার্য প্রতিনিধির ক্ষমা প্রার্থনা তলব, কর্তৃপক্ষের।আর তাতেই নিন্দার ঝড় শান্তিনিকেতনের অন্দরে।উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর একের পর এক সিদ্ধান্তে চরম ক্ষোভ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পাশাপাশি বিতর্ক তৈরি হলো আচার্যের প্রতিনিধিকে কর্মসমিতির বৈঠকের আসতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায়।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নির্দেশেই কর্মসমিতির বৈঠকে তাঁর আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলেই বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর।
শনিবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্মসমিতির জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের খবর সম্প্রতি বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল যেভাবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তা কিভাবে মোকাবিলা করা যায় এটাই মূলত কর্মসমিতির বৈঠকের মূল এজেন্ডা হতে চলেছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু অধ্যাপকের সাসপেনশনের সিদ্ধান্তেও সীলমোহর দেওয়া হতে পারে।
শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত কর্মসমিতির বৈঠকের যে আমন্ত্রণ পাননি তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মনোনীত সদস্য অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র ঘোষ।
তিনি বলেন, “আগামীকাল কর্মসমিতির বৈঠক আছে কিনা আমি জানি না, কারণ আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এখনো পর্যন্ত আমি কর্মসমিতির বৈঠকের কোন ডাক পাইনি।”
তিনি আরো বলেন, “গত ১৪ আগস্ট কর্ম সমিতির বৈঠকে আমি যোগ দিতে রাজি হইনি কারণ নিয়ম মেনে কর্মসমিতির বৈঠকের বিষয় এবং বিগত মিটিং এর মিনিটস আমাকে দেওয়া হয়নি। সেদিন মিটিং শুরু হওয়ার আগে আমাকে ফোন করা হয়েছিল সেখানে আমি স্পষ্ট জানিয়ে ছিলাম যেহেতু কর্মসমিতির মিটিং এর কোন এজেন্ডা ও মিনিটস আমাকে দেওয়া হয়নি। তাই আমি বৈঠকে যোগ দেবো না। তারপর তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে আমি নাকি সাংবাদিকদের জানিয়েছি এই বিষয়ে। সে জন্য বিষয়টি কর্তৃপক্ষ বলে – ‘যদি আপনি ক্ষমা না চান তাহলে তাহলে আপনাকে পরের মিটিং আমরা নাও ডাকতে পারি।’ এখানে ক্ষমা চাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই।
শুক্রবার বিকালে অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র ঘোষ জানান, “এই বিষয়টি আমি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যকে জানাবো, কারণ বিশ্ববিদ্যালয় আমি তাঁর প্রতিনিধি। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেও আমার বক্তব্য জানাবো।”