দেবশ্রী মজুমদার, বোলপুর: তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের চেষ্টায় নাম জড়ালো এক বিজেপি সমর্থকের দিকে। ঘটনাটি ঘটেছে নানুরে কীর্ণাহার ২ নং অঞ্চলে। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত তৃণমূল নেতাকে চিকিৎসার জন্য বোলপুর নিয়ে আসা হয়েছে। সোমবার রাতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।
বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার কীর্ণাহার-২ ব্লকের কীর্ণাহারে। আহত তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির নাম বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে চরণ দাস বৈরাগ্য নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা ও বিজেপি সমর্থক।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ যখন তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হচ্ছিলেন তখনই তার উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। কোপ মারা হয় ঘাড়ে এবং মাথায়। রক্তাক্ত অবস্থায় বিদ্যুৎ চট্টোপাধ্যায়কে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
হাসপাতালে শুয়ে বিদ্যুৎবাবু অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত চরণ দাস বৈরাগ্য এলাকায় বিজেপি সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তিনি বলেন, “আজ পার্টি অফিসে বৈঠক করে যখন বের হচ্ছিলাম তখন হঠাৎই মদের বোতল নিয়ে এসে আমাকে বলে, বন্ধু এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে। আমি বলি হাতে মদের বোতল আছে এখন যা। এই বলে যখন পার্টি অফিস থেকে বেরোচ্ছি, তখনই আমার গায়ে মদ ঢেলে দিয়ে আমার উপর আক্রমণ করা হয়।”
আঁশবটি এবং মদের বোতল নিয়ে তার উপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। শুধু চরণ দাসই নয়, আশেপাশে আরও কয়েকজন দাঁড়িয়েছিল, তারাও এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, যে রাজনৈতিক কারণে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে আক্রমণের ঘটনার সময় আশেপাশের মানুষজন রুখে দাঁড়ালে এলাকা ছেড়ে পালায় অভিযুক্তরা।
আহত বিদ্যুৎবাবুকে উদ্ধার করে প্রথমে কীর্ণাহার গ্রামীণ হাসপাতাল ও পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তদন্তে নামে নানুর থানার পুলিশ।
এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কিত হয়ে এলাকার দোকানপাট খোলা রেখেই দৌড়ে পালায় দোকানদাররা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনে। তদন্ত শুরু করেছে নানুর ও বোলপুর থানার পুলিশ।