পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মূল বায়োমেট্রিক কার্ডের তথ্য কাউকে শেয়ার করা যাবে না, আদালতকে জানাল আধার কর্তৃপক্ষ। ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) এক হলফনামায় দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে, প্রযুক্তি, ফরেনসিক তথ্য জানার জন্য বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা যাবে না। আধার আইনের অধীনে কর্তৃপক্ষের দ্বারা সংগৃহীত মূল বায়োমেট্রিক তথ্য যে কোনও কারণেই হোক না কেন কারুর সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না।
মূল বায়োমেট্রিক তথ্য আধার আইনের ২(জে) ধারা অনুযায়ী মূলত, কার্ড করার সময় আঙুলের ছাপের পাশাপাশি চোখের স্ক্যান বা আইরিস ডেটা নেয় আধার কর্তৃপক্ষ। অতএব, যে কোনও কারণেই হোক মূল বায়োমেট্রিক্স শেয়ার করা বা ব্যবহার করার বিরুদ্ধে আইনের অধীনে স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইউআইডিএআই হলফনামাটি ২০১৮ সালের একটি ডাকাতি এবং হত্যা মামলায় আদালতের প্রশ্নের উত্তর হিসাবে জানিয়েছে, যেখানে প্রসিকিউশন সাইটে সংগ্রহ করা নির্দিষ্ট বায়োমেট্রিক ডেটা আধার ডাটাবেসের সঙ্গে মেলাতে চেয়েছিল। বায়োমেট্রিক তথ্য একজন ব্যক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। তার এটিকে অপব্যবহারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সুরক্ষিত করা খুব প্রয়োজন।
উপরে উল্লেখিত বিধানগুলি থেকে স্পষ্ট, আধার আইনের অধীনে বায়োমেট্রিক তথ্য ভাগ করে নেওয়া বা আধার নম্বর তৈরি করা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার নিষিদ্ধ। এছাড়া কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা কারুর আধার ডেটা শেয়ার করতে পারবে না। আধার কার্ড প্রযুক্তি শুধুমাত্র বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের অনুমতি দেয়। যেটি নির্ভর করে কোনও ব্যক্তির আধার কার্ডের নম্বরের ওপরের ভিত্তি করে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে আধার কার্ড যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কাজে লাগে বায়োমেট্রিক তথ্য। পরিচয়ের প্রামাণ্য নথি হিসাবে ব্যবহার করা হয় আধার কার্ড।
মূলত, কার্ড করার সময় আঙুলের ছাপের পাশাপাশি চোখের স্ক্যান বা আইরিস ডেটা নেয় আধার কর্তৃপক্ষ। এই তথ্যই নাম, ঠিকানা ও ছবির পাশাপাশি ব্যক্তির পরিচয় বোঝায়। সবার আঙুলের ছাপ আলাদা হওয়ায় দ্রুত এই বায়োমেট্রিক তথ্যের মাধ্যমে জানা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়। মূলত আধারটি একটি ১২ অঙ্কের অনন্য নম্বর যা একজন ব্যক্তিকে সারা দেশে তার পরিচয় যাচাই করতে সহায়তা করে। ২০২১ সালের নভেম্বরে গোপনীয়তা রক্ষার জন্য একটি আইন নিয়ে এসেছিল ইউআইডিএআই। যেখানে আধার কার্ডের অপব্যবহার করলে অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় কথা বলা হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা।