পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বিজেপির শাসনামলে গরুকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। হিন্দু ধর্মে গরুর বিশেষ স্থান রয়েছে বলেই গোভক্ত, গোরক্ষক, গোমাতার মতো শব্দ তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি রাজস্থান, পঞ্জাব, হরিয়ানা ও গুজরাতে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ। হাজার হাজার গরুর মৃত্যু হচ্ছে এর ফলে। স্বভাবতই এতে চিন্তিত বিজেপি নেতামন্ত্রী ও সংঘ পরিবারের লোকজন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। সোমবার তিনি তাঁর উদ্বেগের খবর জানিয়ে বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিএই রোগ ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি গোপ্রেমী ও গোপালকদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন। তবে গোভক্তরা অনেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অনেকে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মন্তব্য করছেন, বিজেপির কাছে আশা ছিল তারা ঠিকভাবে গোমাতার সেবা করবে। কিন্তু তাদের আমলেই এভাবে হাজার হাজার গরু মারা যাচ্ছে। মোদির বিজেপি সরকার কিছুই করছে না।
বিজ্ঞানীদের মতে, লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাসঘটিত রোগ। মশা, মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। গরুর শরীর জুড়ে পক্সের মতো গুটি তৈরি হয় এই রোগে। গায়ে ঘা হয়। প্রধানমন্ত্রী মোদি এদিন জানিয়েছেন, এই চর্মরোগের প্রতিষেধক হিসেবে একটি দেশীয় ভ্যাকসিন তৈরি করার কাজ চলছে। এই রোগের প্রাদুর্ভাব রুখতে গরুদের অবস্থা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মোদি। এই রোগের ফলে গরুর দুধ দেওয়া কমে যায়। তাই এর উপর আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্র। গৃহপালিত গরুসহ ডেয়ারি ফার্মের সমস্ত গরুকে ২০২৫ সালের মধ্যে এলএসডি-র ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে এদিন জানান মোদি। গরুদের জন্য ‘পশু আধার’ তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।