পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: দ্বাদশ শ্রেণির ইতিহাস, রাজনীতি, বিজ্ঞান এবং হিন্দি পাঠ্য পুস্তকে এনসিআরটির ব্যাপক রদবদল এবং বাদ দেওয়া নিয়ে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনা গত সপ্তাহের উর্দু মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে কভার করা হয়েছে। বিশেষ করে সম্পাদকীতে কি স্ট্যান্ড নেওয়া হয়েছিল সেটাই ‘দ্যা প্রিন্ট’-এর রাউন্ডআপে তুলে ধরেছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর (এনসিইআরটি) পাঠ্যবইয়ে বিতর্কিত পরিবর্তন এবং মুছে ফেলা ইতিহাস নিয়ে সরব হয়েছে উর্দু মিডিয়াগুলি। সর্বশেষ পর্যালোচনায় এনসিআরটি পাঠ্যবইয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত পরিবর্তন এনেছে যা মুঘল ইতিহাস এবং মহাত্মা গান্ধির হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। মোদি সরকারের এই পরিবর্তন সর্বত্র ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছে।
৪ এপ্রিল সাহারার প্রথম পাতার প্রধান প্রতিবেদন ছিল এনসিআরটির পরিবর্তন সম্পর্কে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ইতিহাস বই থেকে মুঘল সাম্রাজ্যের একটি অধ্যায় মুছে ফেলা হয়েছে এবং হিন্দি বই থেকে কিছু অনুচ্ছেদ ও কবিতাও বাদ পড়েছে। ৫ এপ্রিলের সহারা সম্পাদকীয়তে স্থান পায় এনসিআরটির এই বিতর্কিত পদক্ষেপ। সেখানে বলা হয়, পাঠ্যক্রমের এই পরিবর্তনে কি ফলাফল হবে তা ভবিষ্যৎ কি বলবে। তবে এটা নিশ্চিত যে গোটা একটা প্রজন্ম শুধুমাত্র ভারতের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং ঘটনা সম্পর্কে জ্ঞান থেকে বঞ্চিত হবে না, বরং অন্যান্য দেশের ঘটনাগুলি সম্পর্কেও অন্ধকারে রয়ে যাবে যা বিশ্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়, শিশুরা কেবল বিশ্বযুদ্ধের অনৈতিক জোট, সাম্রাজ্যবাদ, সামরিকবাদ এবং জাতীয়তাবাদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বঞ্চিত হবে না, তারা বিশ্বকে বদলে দেওয়া শিল্প বিপ্লবের কারণগুলির জ্ঞান থেকেও বঞ্চিত হবে। ৬ এপ্রিল সাহারা এনসিআরটির পদক্ষেপের জন্য কংগ্রেসের সমালোচনার কথা জানায়। রিপোর্টে কংগ্রেসকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে যারা ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা করে, তারা নিজেরাই ইতিহাসের ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়।