পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মঙ্গলবার নতুন সংসদভবন চত্বরে বসে বরখাস্ত সাংসদদের সামনে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে নকল করছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় হাসাহাসি করছিলেন বিরোধী সাংসদরা। মোবাইল বের করে ভিডিয়ো রেকর্ডিং করছিলেন রাহুল গান্ধি। তাতে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছেন জাগদীপ ধনকর। বুধবার বিরোধীদের এই আচরণের প্রতিবাদে রাজ্যসভায় প্রায় এক ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকে ধনকরকে সহমর্মিতা জানান এনডিএ সাংসদরা।
প্রায় বিরোধী শূন্য রাজ্যসভায় অপমানিত চেয়ারম্যান ক্ষোভ উগরে দিয়ে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংকে রাহুলের নাম না করে বলেন, আপনারা বলছেন, ১৩৮ বছরের পুরোনো দল আপনাদের। আপনাদের নিস্তব্ধতা আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নিরবতা আমার কান ঝালাপালা করে দিচ্ছে। সবাই জানে কাল কি হয়েছে। একজন গোটা ঘটনাটার (নকল করার ঘটনা) মজা নিতে ভিডিয়ো করছে। সেটাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এটা ভদ্রতা? কত নিচে নামবে?
এরপর ধনকর বলেন, আমাকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ অপমান করলে আমার যায় আসে না। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতি পদের অপমান আমি সহ্য করব না। কৃষকদের, আমার জাতির অপমান আমি সহ্য করব না। আমি ত্যাগ স্বীকার করব। আমাকে কেউ অপমান করলে আমি সহ্য করি। আমি নিঃশব্দে যন্ত্রণা সহ্য করব, কিন্তু আমার এই পদের অপমান অমি সহ্য করব না।
ধনকর জাতের অপমানের কথা বলায় মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, সবকিছুতে জাতের কথা তুলে আনার কোনও অর্থ হয় না। এখন যদি আমি বলি, আমি দলিত বলে সংসদে আমার বক্তব্যে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে কেমন শোনাবে?
গোটা ঘটনায় প্রথমবার মুখ খুলেছেন রাহুল গান্ধি। রাহুল বলেন, আমি যে ভিডিয়ো করেছিলাম, সেটা আমার ফোনেই আছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ঘটনাটি রেকর্ড করে প্রচার করছে। সবাই আমার ডিডিয়ো রেকর্ড করা নিয়ে কথা বলছে। প্রায় দেড়শ জন সাংসদকে বরখাস্ত করা হয়েছে, সেই নিয়ে সংবাদমাধ্যম রা কাড়ছে না। আদানি, রাফাল, বেকারত্ব নিয়ে কোনও আলোচনা নেই। শুধু একজন সাংসদ নকল করেছে সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে।