পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: খোলাবাজারের সঙ্গে দামের ফারাক খুব বেশি না হলেও সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার পরিমাণ বাড়ছে। জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টন ধান কিনেছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, নভেম্বরে ধান কেনার গতি কিছুটা কম থাকলেও ডিসেম্বর পড়তেই তা বাড়তে শুরু করেছে। এমাসে ধানের ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্য কুইন্টাল প্রতি ২১৮০ টাকা। স্থায়ী ক্রয় কেন্দ্রে গিয়ে ধান বিক্রি করলে কুইন্টাল প্রতি ২০ টাকা হারে পাওয়া যাবে বোনাস। এদিকে, খোলাবাজারে এখনও পর্যন্ত ১৯৫০ টাকার কাছে ধান বিক্রি হচ্ছে।
সাধারণত, খোলাবাজারের থেকে ন্যূনতম সংগ্রহ মূল্যের দাম অনেকটা বেশি হলে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার পরিমাণ বেড়ে যায়। সম্প্রতি, কুইন্টাল প্রতি দামের পার্থক্য ৩০০-৪০০ টাকা বা তার থেকে বেশি হতে দেখা গেলেও এখনও পর্যন্ত ধান কেনার পরিমাণ সন্তোষজনক বলেই জানা গিয়েছে। চলতি মাসে ১২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে রাজ্য খাদ্য দফতরের। এই লক্ষ্যমাত্রা শীঘ্রই পূরণ করা যাবে বলে মনে করছে খাদ্য দফতর।
খাদ্য দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ লক্ষ টন। তবে, ওই মাসে লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম পরিমাণে ধান কেনা হয়। যেহেতু নভেম্বর মাসে নতুন ধান খুব কম ওঠে, তাই সরকারি উদ্যোগে প্রতি বছরই ধান কম কেনা হয়। সব থেকে বেশি ধান কেনা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে। সেই অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২৪ লক্ষ টন।
প্রসঙ্গত, ধান কেনার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে চাষিদের আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই করা সহ একগুচ্ছ নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে খাদ্য দফতর। এবার থেকে ধান কেনার সঙ্গে জড়িত পারচেজ অফিসাররা এক জায়গায় বসে বছরভর ধান কিনতে পারবেন না। প্রত্যেক একমাস অন্তর তাঁদের কাজের মূল্যায়ন করা হবে। ওই মূল্যায়ণের ভিত্তিতে এক থেকে দেড় মাস অন্তর তাঁদের কাজের জায়গা পাল্টে দেবে রাজ্যের খাদ্য দফতর। এছাড়া, ধানক্রয় কেন্দ্রগুলির সঙ্গে যুক্ত রাইস মিলেরও পরিবর্তন করা হবে।
এই প্রসঙ্গে, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান, আগে ভোটের সময় জানা যেত প্রিসাইডিং অফিসার কিংবা পোলিং অফিসররা কোন বুথে দায়িত্ব পেতে চলেছেন। তবে, এখন নির্বাচন কমিশন আগাম জানায় না কোন প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার কোন বুখে দায়িত্ব পাচ্ছেন। একইরকম ভাবে পারচেজ অফিসারদের অভিজ্ঞতা বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগানোর জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়েছে খাদ্য দফতর। ফলে, পারচেজ অফিসারদের কাজ যে এবার আতশ কাঁচের নীচে থাকবে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ধান কেনার কাজে যাতে কোনওরকম আর্থিক দুর্নীতি বা হিসেবে গরমিল না হয়, তার জন্যই এই নয়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।