পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অপেক্ষার কয়েকদিন মাত্র। আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে বাংলাদেশের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন । গত রবিবার শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা। জানা গেছে, বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের জন্য ২৬৩টি আসন রেখে বাকি আসনগুলো থেকে দলীয় প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বাকি ৩৭ টি আসনের মধ্যে ২৬ টি জাতীয় পার্টি’কে দিয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ভুক্ত ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ ও জেপিকে মোট ৬ টি আসন ছেড়ে দিয়েছে। অর্থাৎ মোট ৩২ টি আসনে প্রার্থী দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন দলটি। এছাড়া, নানা রকম দুর্নীতির অভিযোগ এনে বাকি ৫ টা আসনে দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল করেছে আওয়ামী লীগ । তবে সূত্রের খবর অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদলতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে এই সব প্রার্থীরা।
উল্লেখ্য, রবিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয় আওয়ামী লীগ। তবে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে (বিএনএম) কোনও আসনে ছাড় দেয়নি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সংশ্লিষ্ট দলগুলি নিজেদের মতো করে নির্বাচন করছে। ১৪ দলীয় জোট ভুক্ত দল তরিকত ফেডারেশনকে আওয়ামী লিগ কোনও আসন না দেওয়ায় তারা নিজেদের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর সারা দেশের ৩০০ আসনে মোট ১৮৯৬জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিঁকে রইলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় গোপন বৈঠক পর্ব শেষ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছাতে পেরেছে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। যে সকল আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে সেগুলো হলো: ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী ৩ ও ৪, রংপুর ১ ও ৩, কুড়িগ্রাম ১ ও ২, প্রমুখ। দলের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া রবিবার সাংবাদিকদের জানান, জোটশরিক ছোট দলগুলি আওয়ামী লিগের নৌকা প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। আর জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনগুলিতে আওয়ামি লিগের প্রার্থীরা ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক রবিবার জানান, ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৮৩টিতেই লড়াই করবে তাদের দল। আওয়ামি লিগের সঙ্গে জোট করা কিংবা আসন সমঝোতার বিষটিও খারিজ করে দেন তিনি। তবে তিনি জানিয়েছেন, কিছু আসনের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল নেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের মোট ৩০০টি আসনে নির্বাচন হবে। ভোটপর্ব মিটলেই শুরু হবে গণনা। প্রধান বিরোধী দল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি এবং তাদের সহযোগী জামাতে ইসলামি নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা জানিয়ে দিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হাসিনার নেতৃত্বে কোনও সরকারের তত্ত্বাবধানে জাতীয় সংসদের নির্বাচন হলে তারা অংশ নেবে না।