ইনামুল হক, বসিরহাট: বসিরহাটের ইটভাটার চিমনি ভাঙ্গা কাণ্ডে নিহত ও জখমদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই কথামতো রবিবার পৌঁছে গেল চিমনি দুর্ঘটনার নিহতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদান। বাদ গেল না জখম শ্রমিকদের পরিবারও। গত ১৩ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যেবেলা উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সাকচুড়া বাগুন্ডি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধলতিথা ইটভাটা চিমনির তলায় আগুন লাগাতেই ১২০ ফুটের লম্বা চিমনির বিস্ফোরণে হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে।
তার তলায় দাঁড়িয়ে থাকা ভাটার মালিক অসিত ঘোষ, ভাটা শ্রমিক হাফিজুল মণ্ডলদের বাড়ি বসিরহাটের সোলাদানা ও পাইকেরডাঙ্গা গ্রামে। ভিন রাজ্যের তথা উত্তরপ্রদেশের ফজরাবাদের বাসিন্দা রাকেশ কুমার, জেঠুরামসহ চারজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিল বেশ কয়েকজন। এই খবর ছড়াতেই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবারকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
রবিবার মৃতদের উদ্দেশ্যে নীরবতা পালন করে তাদের হাতে আর্থিিক অনুদানের চেক তুলে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। সঙ্গে ছিলেন বসিরহাটের মহাকুমাশাসক আশীষ কুমার, বসিরহাট১ ব্লকের বিডিও গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক চিকিৎসক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, বসিরহাট ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উত্তম সরদার, বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র রায় চৌধুরী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
এদিন অফিসে মৃতের পরিবার ও আহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেয় রাজ্য সরকার। আর্থিক সাহায্য পেয়ে রীতিমতো খুশি মৃত শ্রমিকের পরিবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক চিন্তাভাবনায় রাজ্য সরকার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের পাশে সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তারও একবার দেখা গেল বসিরহাটের ইটভাটা কান্ডে মৃত ও আহতদের পাশে আর্থিক সাহায্য দিতে এগিয়ে আসলো সরকার।
পাশাপাশি এদিকে আর্থিক সাহায্য পেয়ে ধন্যবাদ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে এছাড়াও তারা দাবি করেছেন এটা ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনা। যারাই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে স্হানীয়রা।