পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদের নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে সংসদে কোনও বিতর্ক চাইছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উনি এই ইস্যু থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এর প্রধান কারণ হল তাদের দলের সাংস প্রতাপ সিমহার পাশ নিয়ে সংসদে এই অনুপ্রবেশ ঘটেছিল । সে কারণেই কেবল তদন্তের কথা বলে সংসদ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মোদি। রবিবার এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই পোস্ট করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ।
নয়া সংসদে নিরাপত্তার ওপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এমন মারাত্মক নিরাপত্তা গাফিলতির পর তিনি মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতোই। পরে অমিত শাহের মতই তিনিও নিরাবতা ভঙ্গ করলেন বটে কিন্তু সংসদে নয়, অমিত শাহ মুখ খুলেছিলেন বেসরকারি চ্যানেলে আর মোদি মুখ খুললেন একটি সংবাদপত্রের সামনে। যে বিষয় নিয়ে সংসদে বিতর্ক হওয়ার কথা তা কেবল তদন্তের কথা বলে এড়িয়ে গেলেন তিনি।
প্রশ্ন উঠছে বিরোধী দলের কোন সাংসদ যদি এই পাশ অনুমোদন করতেন, তাহলে মোদি কি সংসদে এমন নীরব থাকতেন। যারা সেদিন স্মোক ক্র্যাকার নিয়ে সংসদের গ্যালারি থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তারা কোনো সংখ্যালঘু হলে তিনি কি সংসদে এমনই চুপ করে থাকতেন ? যিনি পোশাক দেখে মানুষের ধর্মীয় পরিচয় বুঝে ফেলেন, তিনি এমন করে মুখে কুলুপ এঁটে থাকতেন বলে মনে হয় না। অভিযোগ অনেকের।
রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন ইন্ডিয়া জোট বারবার অমিত শাহের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া দাবি করছে। মোদি বলেছেন, এই কাজ যারা করেছে তাদের পিছনে কারা আছে তাও তদন্ত করে দেখতে হবে। তাহলে কি এর পিছনে করা আছে আর তাদের পরিচয় সামনে না এলে এবং তা বিজেপির রাজনৈতিক প্রচারে সহায়ক না হলে তেমন কিছু হবে না?
সে প্রশ্ন অবশ্য মোদিকে করা হয়নি। তিনি বলেছেন, অযথা এই ইস্যু নিয়ে ঝগড়া করা ঠিক নয়। সবাই মিলে এর সমাধান করতে হবে। ইতিমধ্যেই স্পিকার এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মোদির বক্তব্য, আগেও এমন নিরাপত্তা গাফিলতি হয়েছে। তাহলে নয়া সংসদে নিরাপত্তার বিষয়টি কি আগের রেফারেন্স দিয়ে এমন ঢিলেঢালাই রাখা হবে ? এমন প্রশ্ন মোদিকে করেন দৈনিক জাগরণের সাংবাদিক।