পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট হয়ে গিয়েছে। পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কংগ্রেসের কাছে স্বান্তনা পুরস্কার কেবল তেলেঙ্গানা। প্রতিটি ভোটই বিজেপি লড়ছে সর্বশক্তি দিয়ে। দেখে মনে হবে এটাই বুঝি তাদের শেষ ভোট। ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটও তারা লড়েছে ২৪’ এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে। কিন্তু কংগ্রেস তেমনভাবে লড়েননি। বিজেপি লাগাতার খ্রিস্টান ও মুসলিম বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। হিন্দু জাতীয়বাদে ধুয়ো দিচ্ছে এবং সেই জাতীয়তাবাদকে সামনে রেখে হিন্দুভোটকে এককাট্টা করছে। এর যোগ্য জবা দিতে হবে কংগ্রেসকে। পিটিআইকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম।
ছত্তিসগড় ও রাজস্থানে ছিল কংগ্রেস সরকার। কিন্তু বিজেপি তার তা দখল নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশে নিজেদের সরকারও ধরে রেখেছে তারা। তাহলে কি কংগ্রেস ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে? এর জবাবে চিদম্বরম বলেন, কংগ্রেসের ভোট অটুট রয়েছে। যে তিন রাজ্য থেকে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে সেখানেও কংগ্রেস ৪০ শতাংশ ভোট পেয়েছে। যা নিঃসন্দেহে আশাব্যাঞ্জক।
যদি কংগ্রেস এই ভোট শতাংশকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করতে পারে তাহলে লোকসভায় বিজেপি চাপে ফেলতে পারবে কংগ্রেস। তবে একই সঙ্গে তিনি বলনে, মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল বৃদ্ধি ও নোটবন্দির মত ইস্যু গুলিকে সামনে রাখতে হবে। এখন আর নোটবন্দির কথা বললে আগের মত সাড়া নাও মিলতে পারে, তবে এই নোটবন্দির কারণেই যে পাহাড় প্রমাণ কালোটাকা বেড়েছে সে কথা সামনে আনতে হবে। কালো টাকার পাহাড় জমা করতেই যে নোটবন্দির পরিকল্পনা করা হয়েছিল যুক্তি দিয়ে তা প্রমাণ করতে হবে।
৫ রাজ্যে নির্বাচনের আগে মোট ১,৭৬০ কোটি কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে। তার নেপথ্যে ছিল এই নোটবন্দি । লোকসভার আগে ইন্ডিয়া জোট কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে তারও জবাব দেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, বিজেপিকে যে দল যেখানে রুখতে পারবে সেই দলের প্রার্থীকে সেখানে টিকিট দিতে হবে। মোদ্দা কথা হবে বিজেপিকে আটকানো। কে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হবেন এটা বড় বিষয় নয়। নির্বাচনে জয়ের পর জোট একজনকে সিলেকশন করবে।
তিনিই হবেনা প্রধানন্ত্রী। মোদ্দা কথা হল, বিজেপির বিরুদ্ধে এই লড়াইটা করতে হবে সিরিয়াসলি। তার জন্য হাতে আর সময় নেই। কর্মসংস্থা ও দ্রবমূল্যের মত সাধারণ মানুষের ইস্যুগুলি তুলে ধরতে হবে। জানিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পি চিদম্বরম।