ইনামুল হক, বসিরহাট: রসগোল্লা কেন নলেন গুড়ের নয়। আর এ নিয়ে দোকানীর সঙ্গে বচসার জেরে দোকানে একদল দুষ্কৃতীর তাণ্ডব চালাই। দুষ্কৃতীদের গুলি চালনার ঘটনায় এক ক্রেতাও জখম হন। কোমরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওই ক্রেতা নবীন কুমার দাস এখনো পর্যন্ত চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। মারধর করা হয় দোকানের মালিক ও কর্মচারীদের। ১০ ডিসেম্বরের রাতে এই ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে দ্বিতীয় কে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ।
বসিরহাট শহরের কলেজ পাড়ায় একটি মিষ্টির দোকানে মিষ্টি খাওয়া কেন্দ্র করে ঝামেলা গন্ডগোলের জেরে এক দৃষ্টিতে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল দুষ্কৃতী। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মূল দুষ্কৃতী ব্যোমকেশ মৃধা ওরফে বুধো কে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট থানার কলেজ পাড়ার ঘটনা। টাকি রোডের পাশে তাপস মণ্ডলের মিষ্টির দোকানে ঘটনা ঘটে। শনিবার বসিরহাট পুলিশ জেলার ডিএসপি গোলাম সারোয়ার, আইসি সুরিন্দর সিং, সহ পুলিশ আধিকারিকরা ওই দুষ্কৃতীকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে কীভাবে সেদিন গুলি চালিয়েছিল। কেনোই বা মারার উদ্দেশ্য ছিল। তারা পুনর্নির্মাণ করেন, দুষ্কৃতীকে সামনে রেখে। নলেন গুড়ের রসগোল্লা কাণ্ডে রাতের অন্ধকারে কীভাবে এসেছিল, কজন এসেছিল? তাদের হাতে কি ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল? কী গাড়িতে এসেছিল? পাশাপাশি মিষ্টির দোকানের কাছে গুলি করা অন্যদিকে ক্রেতার নবীন কুমার দাস কে কি বলে গুলি করেছিল? সবটাই পুনঃনির্মাণ করে দেখান ওই দুষ্কৃতী। পাশাপাশি পুলিশ আধিকারিকরা বলেন, গোটা ঘটনার দিকে নজর রেখেছে তদন্তকারীরা এবং এই শুট আউটের ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে।