পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদে স্মোক ক্যান কাণ্ডে মন্ত্রীরদের কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই নিয়ে মন্ত্রীদের রাজনীতি না করার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল ১৩ ডিসেম্বর জঙ্গি হানার বর্ষপূর্তি দিনে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন লোকসভায় সত্যিই ঘটে গেল এক অনভিপ্রেত ঘটনা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের অষ্টম দিনে দুই আগন্তুক অনুপ্রবেশ করে তাণ্ডব চালায়। তারা আচমকাই দর্শক গ্যালারি থেকে সভাকক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ে, হলুদ ধোঁয়া ছড়িয়ে দেন। অধিবেশন চলাকালে এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লোকসভা কক্ষে। শুরু হয় হট্টগোল। পরে নিরাপত্তারক্ষী ও কয়েকজন সংসদ সদস্য তাদের ধরে ফেলেন। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তবে আগে থেকেই হামলার হুমকি থাকা এমন দিনে এই ঘটনা নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করে সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। এই বিবৃতির দাবিতে আজ রাজ্যসভা, লোকসভা আজও তুমুল হই হট্টোগোল হয়।
আজ রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলের ডেরেন ও’ ব্রায়েন। তাকে সাসপেন্ড করা হয়। বৃহস্পতিবার সংসদের দুই কক্ষেই এই ইস্যুতে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সেই কারণেই লোকসভায় ৫ কংগ্রেস সাংসদকে সাসপেন্ড করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ইস্তফা চেয়ে সরব হচ্ছিল বিরোধীরা। তখনই কংগ্রেস সাংসদ টি এন প্রতাপন, হিবি ইডন, এস জোথিমনি, রাম্য হরিদাস ও ডিন কুরিয়াকোসকে সাসপেন্ড করা হয়। ‘অনুচিত ব্যবহার’ করেছেন তারা এই অভিযোগে তাদেরকে অধিবেশনের বাকি দিনগুলোর জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। দুপুর দু’টো পর্যন্ত মুলতুবিও করা হয় লোকসভার অধিবেশন।