পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নয়া সংসদ ভবনে বিশৃঙ্খলা কাণ্ড পূর্ব পরিপরিকল্পিত ছিল বলে মনে করছে দিল্লি পুলিশ। এখনও এই ঘটনায় ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ১২.৫৬ মিনিট নাগাদ নয়া সংসদে শীতকালীন অধিবেশন চলছিল। ঠিক তখন জিরো আওয়ারে বক্তব্য রাখছিলেন মালদার উত্তরের বিধায়ক খগেন মুর্মু। হঠাৎ সেই সময় অতর্কিতে দর্শকাসন থেকে প্রথমে লাফ দিয়ে পড়েন একজন। সাংসদরা ভেবেছিলেন ভিজিটরস আসন থেকে কেউ হয়তো পড়ে গেছেন। কিন্তু তার পরক্ষণেই অপর একজন লাফ দিয়ে পড়েন। সেই সঙ্গে জুতো বা মোজার মধ্যে থেকে একটি স্মোক স্ক্যান বের করে সাংসদের দিকে লক্ষ্য করে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেয় তারা। হলুদ ধোঁয়ায় ভরে যায়।
মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাংসদরা নিরাপত্তারক্ষীদের ডাকেন। এক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরিস্থিতির অস্থিরতায় দুই আগন্তুককে চুলের মুঠি ধরেই মারতে থাকেন অনেকে। নিরাপত্তারক্ষীরা দৌড়ে এসে তাদের হেফাজতে নেয়। বাকি দুজনকে পরিবহন ভবনের বাইরে থেকে পাকরাও করা হয়। জানা গেছে, ভিতর থেকে পাকরাও করা দুজনের নাম সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন। দুজনেই মহিশূরের বিজেপি সাংসদের প্রতাপ সিমার পাস নিয়ে ভিতরে ঢুকে ভিজিটরস আসন বা দর্শকাসনে বসেছিলেন।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই পরিবহন ভবনের সামনে থেকে নীলম বলে এক মহিলা ও অমল শিন্ডে বলে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গেছে, ধৃত সাগর লখনউ, মনোরঞ্জন কর্নাটক, নীলম হরিয়ানা, অমল শিন্ডে মহারাষ্ট্রের পুণে বাসিন্দা। নীলম কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশ বলছে, এরা সকলেই আগে থেকে প্ল্যান করে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই গুরুগ্রামে ছিলেন। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট ৬ জন। পুলিশ ললিত ঝাঁ নামে একজনের খোঁজ করছে। এরা সকলেই গুরুগ্রামে একটি ঘর ভাড়া করেছিল। তাহলে কি এই ঘটনা নেপথ্যে ছিল বড়সড় নাশকতার পরিকল্পনা। অভিযুক্ত মনোরঞ্জন সংসদে ভিজিটরস পাস নেওয়ার জন্য মহিশূরের বিজেপি সাংসদ প্রতাপ সিমার দফতরে তিন মাস ধরে যাতায়াত করেছিলেন।