পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: প্রধান বিচারপতি সহ পাঁচ বিচারপতির সংবিধান বেঞ্চ দীর্ঘ সময় ধরে শুনানি করেছে ৩৭০ ধারা রদ চ্যালেঞ্জ মামলার। জুলাই মাসের ১১ তারিখ থেকে শুনানি হয়। সেপ্টেম্বর ৫ এই মামলার রায় রিজার্ভ রাখা হয়েছিল। সেই রায় সংবিধান বেঞ্চ শুনবে সোমবার ১১ ডিসেম্বর। বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কাউল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বিআর গাভি ও বিচারপতি সূর্যকান্ত।
জম্মু-কাশ্মীরের রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ফ্রন্ট ও পিডিপি রয়েছে এই চ্যালেঞ্জকারীদের মধ্যে। সিনিয়র আইনজীবী কপিল সিব্বল কেন্দ্রের এই ৩৭০ ধারা রদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় সওয়াল করেছেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জম্মু কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের রক্ষাকবচ ৩৭০ ধারা রদ করার ঘোষণা করে। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা খতম করে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়। একটি লাদাখ ও অপরটি জম্মু-কাশ্মীর। এই ঘোষণার আগে সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাকর্মী দিয়ে মুড়ে ফেলা হয় কাশ্মীর।
মেহবুবা মুফতির আইনজীবী কোর্টে জানান, তৎকালীন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের অনুমোদন নেওয়া হয়নি এই সিদ্ধান্তের সময়। কপিল সিব্বালও জানিয়েছেন এই রাজ্যের মানুষদের সম্পূর্ণ ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত। তাছাড়া সংবিধান প্রদত্ত গ্যারান্টি এভাবে কেড়ে নিতে পারে না কেন্দ্রীয় সরকার।
উল্লেখ্য, দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় জম্মু কাশ্মীর ছিল তৎকালীন রাজা হরি সিং-এর অধীন। কিন্তু পাকিস্তান একটি অংশ দখল করে নেয় বর্তমানে সেটি পাক অধিকৃত কাশ্মীর বা আজাদ কাশ্মীর নামে পরিচিত। আর জম্মু-কাশ্মীর ভারতভুক্তির সময় সংবিধান এই অঞ্চলটির জন্য বিশেষ মর্যাদার গ্যারান্টি দেয়। একই ধরনের গ্যারান্টি দেওয়া হয় আরও বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে। কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা জম্মু-কাশ্মীরের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা খতম করার জন্য নানা ধরনের কৌশল রচনা করতে থাকে।
বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে ৩৭০ ধারা রদ করে দেওয়া হয়। দেশবিদেশে প্রতিক্রিয়া হয় এই সিদ্ধান্তের। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত ছিল এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে কাশ্মীরে জঙ্গিহামলা ও অস্থিরতা কম করার চেষ্টা করা। সেই মামলার রায় হতে চলেছে সোমবার।