পুবের কলম প্রতিবেদক: শুক্রবার, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। লোকসভা থেকে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার পর উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদ। তৃণমূল সাংসদরা এবং বিশেষত ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেন। এই বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা আচরণ করছে। সমস্ত নিয়ম কানুন ভেঙে গা জোয়ারি করে খারিজ করল সাংসদ পদ। প্রতিবাদী কন্ঠ রোধ করার চেষ্টা। সম্পূর্ণ সংসদীয় রীতিনীতি ভেঙে এই কাজ করা হল। অভিযোগের হলফনামার যাচাই করা হল না। এতে বিজেপি কি পেল? বিজেপি লোকসভায় হারবে।”
কুণাল আরও বলেন, “প্রমাণ না করে সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হল। আজ বহিষ্কারের পরে একাধিক দল পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ইন্ডিয়া জোটের যোশ দেখা গেল। তৃণমূলের গর্জন দেখা গেল। তৃণমূল কংগ্রেস যেটা বলতে চাইছে, এই বিজেপি ভয়ঙ্কর। এরা নখ দাঁত বার করে লড়াই করছে। তৃণমূলের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করেই সবাই একযোগে সিনিয়ররা এলেন। পরবর্তী বৈঠক থেকে এর প্রতিফলন হবে।”
এদিন, সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে মহুয়া মৈত্র বলেন, ‘এথিক্স কমিটি বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ কোনও নিয়মের ধার ধারা হয়নি৷ দু’জনের ব্যক্তিগত বয়ানের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হল৷ তাঁদের কাউকে আমি প্রশ্ন করার সুযোগ পেলাম না৷ আমি উপহার, টাকা নিয়েছি, এরকম কোনও প্রমাণ নেই৷ যে সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হল, সেগুলি পরস্পর বিরোধী৷ সাংসদদের লগ ইন পোর্টাল কাউকে দেওয়া যাবে না এরকম কোনও নিয়ম নেই।’ একইসঙ্গে, মহুয়ার আশঙ্কা আগামী ৬ মাস তাঁর বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়ে তাঁকে হেনস্থা করা হবে।