ইনামুল হক,বসিরহাট: বসিরহাট ১ ব্লকের গাছা আখারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের গাছা আখারপুর অঞ্চল হাই স্কুলে অভিনব উদ্যোগ নিল ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা। তৈরি হলো রক্তের ডেটা ব্যাঙ্ক।আপদকালীন সময়ে সুস্থ রোগীর জন্য রক্তের খোঁজ মিলতে অনেক সময় কাল ঘাম ছুটে যায়। হয়রানির শিকার হতে হয় রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে দালাল ফড়েদের রক্ত নিয়ে কালোবাজারিতে নাকাল হতে হয় এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে। এবার সেই দিকে নজর দেখে অভিনব উদ্যোগ নিল সীমান্তের এই হাই স্কুল। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রাম্য স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা একসময়ে পড়াশোনায় পিছিয়ে ছিল।
বর্তমান প্রধান শিক্ষকের তৎপরতায় স্কুলের পরিকাঠামো নতুনভাবে সাজানোর পাশাপাশি স্কুলে স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগামীদিনে এলাকায় রক্তের ঘাটতি মেটাতে স্কুলের প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের নিজে নিজে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করা হয়েছে এবং তাদের সচিত্র পরিচয় পত্রের ছবিসহ তা সংরক্ষণ করা হয়েছে। প্রতিদিন স্কুল শুরুর আগে প্রার্থনার সময় স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রক্তের গ্রুপ অনুসারে লাইনে দাঁড়ায়। এভাবেই নিজেদের মধ্যে কার কোন রক্তের গ্রুপ তা নিজেরাই জানতে পারবে এবং আগামীদিনে একে অপরের রক্তের প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করবে। স্কুলে তৈরি করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী ডাটা ব্যাঙ্ক। স্কুলের শিক্ষার্থী মৌমিতা বিশ্বাস, সাইফুদ্দিন ইসলামরা জানালো, ক্লাসে রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী কুইজ, পাঠ্য বিষয়ের প্রশ্ন উত্তর বিতর্ক সভার আয়োজনও করা হয়।
এমনকি স্কুলের কবাডি খেলা একই রক্তের গ্রুপের দল তৈরি করে। এতে আমরা উৎসাহিত হই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুরশিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, “সীমান্ত এলাকায় পিছিয়ে পড়া এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে রক্তদানে সচেতনতার বাড়াতে এবং এলাকার মুমুর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজন মেটাতে এই উদ্যোগ।” এই উদ্যওগকএ স্বাগত জানিয়েছে অভিভাবকরা। সব মিলিয়ে হাসপাতালে ক্ষেত্রে রক্তের আকাল দেখা গেলেও প্রত্যন্ত এলাকার এই গাছা আখারপুর অঞ্চল হাইস্কুল যে আগামী দিনের রক্তদানের ব্রতী হিসেবে পথ দেখাবে তা বলাই বাহুল্য