পুবের কলম প্রতিবেদক: ভালোবাসার টানে সীমান্ত পেরিয়ে পাক কন্যা বিয়ে করতে এলেন ভারতে। বিয়ে হবে কলকাতার যুবকের সঙ্গে। হবু স্বামীর কথায়, উদ্দেশ্য সঠিক হলে সীমান্ত কোনও বিষয় নয়।
পাকিস্তানি কন্যার নাম জাভেরিয়া খানম। করাচি থেকে প্রেমের টানে আত্তারি-ওয়াঘা আন্তর্জাতিক সীমান্ত পার করে জাভেরিয়া চলে এসেছেন তাঁর হবু স্বামী সমীর খানের সঙ্গে দেখা করতে। হবু পুত্রবধূকে স্বাগত জানিয়েছেন শ্বশুর আহমেদ কামাল খান ইউসুফজাই। রীতিমতো বাদ্যি-বাজনা বাজিয়ে হবু পুত্রবধূকে কলকাতায় স্বাগত জানান তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ৪৫ দিনের ভারতীয় ভিসা নিয়ে জাভেরিয়া কলকাতায় এসেছেন গত মঙ্গলবার। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই সমীরের সঙ্গে জাভেরিয়ার বিয়ের দিন স্থির হয়েছে। জাভেরিয়া কলকাতায় পৌঁছনোর পরেই ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সমীর। সমীর বলেন, উদ্দেশ্য সঠিক হলে সীমান্ত পার করে আসা কোনও বিষয় নয়। জানুয়ারিতেই বিয়ে। তাই এবার দীর্ঘ ভিসার জন্য আবেদন জানাবেন জাভেরিয়া।
জাভেরিয়া জানান, এই মুহূর্তে ৪৫ দিনের ভিসা নিয়ে তিনি ভারতে এসে পৌঁছেছেন। ভীষণ ভালো লাগছে। শ্বশুরবাড়ির সকলের কাছ থেকে খুব ভালোবাসা পেয়েছি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই সমীরের সঙ্গে বিয়ে। আমার জীবনের একটি সুখী সমাপ্তির মধ্য দিয়েই সুখী জীবনের শুরু করতে চলেছি। আমার পরিবারেরও সবাই খুশি। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না, যে ৫ বছর পর আমি ভিসা পেলাম। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, জাভেরিয়া খানমকে ভারতের ভিসা থেকে সাহায্য করেছেন সাংবাদিক, সমাজকর্মী মকবুল আহমেদ ওয়াসি কাদিয়ান। মকবুল আহমেদ এর আগেও বহু পাক বধূকে ভিসা পেতে সাহায্য করেছেন।
সমীর জানিয়েছে, ২০১৮ সালের মে মাস থেকে জাভেরিয়ার সঙ্গে তার আলাপ। জার্মানিতে আমি পড়াশোনা করতাম। বাড়িতে মায়ের ফোনে আমি প্রথম জাভেরিয়ার ছবি দেখে আমার ভালো লাগে। আমি মাকে জাভেরিয়াকে বিয়ের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলাম।উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথমে পাক বধূ সীমা হায়দার তার সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে উত্তরপ্রদেশের নয়ডার যুবককে শচীনকে বিয়ে করেন। ২০১৯ সালে অনলাইন গেম পাবজি খেলার মাধ্যমে দুজনের আলাপ হয়। তার পর থেকেই পাক কন্যার ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্য নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়। (298)