দেবশ্রী মজুমদার,শান্তিনিকেতনঃ সাংবাদিক বৈঠক করে বিশ্বভারতীর এন আই আর এফ তালিকায় মানের অধোগতির কথা স্বীকার করলো বিশ্বভারতী।দীর্ঘ দেড় বছর বাদে সংবাদ মাধ্যমের সাথে বৈঠক করলো বিশ্বভারতী।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী, আশোক মাহাতো, সুধাংশ মাইতি প্রমুখ।
আলোচনার বিষয় ছিল সদ্য “ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটওয়াল রিফ্রেম ওর্য়াক রাংঙ্কে” বিশ্বভারতীর শিক্ষার মানের অবনমন।
উল্লেখ্য, প্রায় ২০ প্যারেমিটার নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গ উঠে আসে। যা এন আই আর এফ স্কোর র্যাঙ্কিংকে মাফকাঠি।
এবিষয়ে বিশ্বভারতী আধিকারিক সুধাংশ মাইতি বলেন, বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে ছাত্রী আবাসন ও প্রতিবন্ধীদের ভেহিকল ও টয়েলেট পর্যাপ্ত পরিমাণ নেই।
এছাড়া কোভিড পরিস্থিতি তে ২৫ শতাংশ কর্মীদের নিয়ে কার্যকলাপে কাজের ধীর গতি। তাই এদিক দিয়ে মান নেমেছে।
অশোক মাহাত বলেন , দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবছর,৭০থেকে ৭৫ টি পদশূন্য হয়ে থাকে। বিগত ৫ বছরে ৬৪০ পদ শূন্য রয়েছে টিচিং ও ননটিচিং স্টাফ।
উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ বলা হয়েছে এবিষয়ে নজর দিয়ে নিয়োগ পদ্ধতি চালু করা।
এছাড়া রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ও দেশ বিদেশের ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি সংখ্যা কমেছে। এই গুলোকে ফুলফিল করতে হবে।
উপাচার্য বিদুৎ চক্রবর্তী বলেন যে, বিশ্বভারতীর কলাভবন, সঙ্গীত ভবনের এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। কিন্ত এই ভবন গুলো এন আই আর এফ রাংঙ্কে তালিকাভুক্ত নেই।
এই ভবন গুলোকে তালিকাভুক্ত করার জন্য ইউজিসি ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কথা বলবো।
তিনি আরও বলেন এই শিক্ষার মান একার দ্বারা তুলতে পারা সম্ভব না। বিশ্বভারতীর ফ্যাকালটি পড়ুয়া অধ্যাপক ঐকবদ্ধ্য হয়ে প্রচেষ্টা করলে আগামী বছর আমাদের মান বাড়বে।