দেবশ্রী মজুমদার,শান্তিনিকেতন: ছাত্র আন্দোলনে উস্কানির অভিযোগে অধ্যাপককে শোকজ থেকে জাতিগত বৈষম্যে উত্তাল বিশ্বভারতী।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে বিশ্বভারতীর অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্যকে শোকজ করলো বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
ছাত্র আন্দোলন নিয়ে অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠার পরেও নতুন করে এই শোকজ নিয়ে চাঞ্চল্য শুরু হলো বিশ্ববিদ্যালয়ে। যেখানে আদালত নির্দেশ দিয়েছে পনেরো দিনের মধ্যে অধ্যাপকদের সাসপেনশন নিয়ে রিভিউ করতে হবে, সহনশীল হতে হবে, সেখানে এই হঠকারীতায় আদালতে ফের মুখ পুড়বে উপাচার্যর বলে ধারণা বিভিন্ন মহলের।
এব্যাপারে সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্য বলেন, শুধু আমি নই, এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিল ভিবিউফা অধ্যাপক সংগঠন। আলোচনা করে এ ব্যাপারে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পাঠভবনের অধ্যক্ষ পদে বোধিরূপা সিংহর সময় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে সরব অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য্যকে জানুয়ারি মাসে সাসপেন্ড করা হয়। সেই মেয়াদ পাঁচ সেপ্টেম্বরে শেষ হতেই ফের এক মাসের জন্য সাসপেনশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এর মাঝে ফের শোকজ খেলেন সুদীপ্তবাবু। তিন দিনের মধ্যে শোকজের উত্তর চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাতো।
অন্যদিকে, ” জাতিগত বৈষম্য, হেনস্থা, প্রাণ নাশের হুমকি এবং বলপূর্বক ভীতি প্রদর্শনের” অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর ছায়া সঙ্গী সঙ্গীত ভবনের অধ্যাপক সুমিত বসুর বিরুদ্ধে শান্তি নিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোমনাথ সৌ। অভিযোগ, শুক্রবার শান্তিনিকেতন সংলগ্ন শ্যামবাটি বাজারে বন্ধুদের সাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন সোমনাথ সৌ, তখন সুমিত বসু সাইকেলে করে ওই স্থান পেরোবার সময় তার উদ্দেশ্যে রাস্তায় থুথু ফেলে জাতিগত বৈষম্যের কথা বলে ঘৃণা ছড়ান। তিনি বলেন এস সির বাচ্চাদের সাথে কথা বলেন না। বললে তার জাত যায়। উপাচার্যর হাত ধরে শুদ্ধিকরণ শুরু হবে। সোমনাথের মতো হাড়ি মুচিদের নর্দমায় স্থান হবে। এছাড়াও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ছোটলোক অশুচি তোর গলায় পা দিয়ে মারবো। লেফ্টের কুত্তা গুলোকে বিশ্বভারতী থেকে তাড়াবো। এই ঘটনাকে জাতিগত বিদ্বেষ হিসেবে দেখে মানসিকভাবে আহত হয়ে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র সোমনাথ সৌ। এব্যাপারে সঙ্গীত ভবনের মণিপুরী নৃত্য বিভাগের অধ্যাপকের সাথে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি।