পারিজাত মোল্লা: .বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে উঠে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। প্রাথমিকের প্রায় ১২০০০ চাকরিপ্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে নতুন করে দেখা দিল আইনী জটিলতা। তবে এবার সিদ্ধান্ত নিল না কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই সিদ্ধান্ত নিতে বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন বিচারপতি জানান, ‘এই বিষয়ে পর্ষদের সিদ্ধান্ত আগামী ৪ জানুয়ারির মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে’।
বিচারপতির এই নির্দেশে তৈরি হয়েছে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে আশঙ্কা। মনে করা হচ্ছে এর ফলে ওই চার হাজার চাকরিপ্রার্থী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশই নিতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ ছাড়া তাঁরা স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের জন্য ২০১৭ সালে ১৮ মাসের একটি প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওপেন স্কুল (এনআইওএস)-এর মারফত ‘ওপেন অ্যান্ড ডিস্ট্যান্স লার্নিং’ কোর্স চালু করা হয়। কিন্তু, চাকরিরতদের জন্য এই কোর্স হলেও, বহু চাকরিপ্রার্থীও সেখান থেকে ১৮ মাসের ডিএলএড কোর্স সম্পন্ন করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার চাকরি জন্য আবেদনও করেন। সেই সংক্রান্ত একটি মামলাতেই গত ২৮ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে জানিয়েছিল, ১৮ মাসের এই প্রশিক্ষণরতরা নতুন কোনও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না। সেই রায়েরই প্রভাব পড়েছে বাংলার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও। ঘটনাচক্রে, বাংলায় এই প্রশিক্ষণ নিয়ে চাকরির আবেদনকারীর সংখ্যা প্রায় ১২০০০ মত।