পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি ও সম্ভাব্য চুক্তির পরবর্তী ধাপ নিয়ে বৈঠক করেছেন মার্কিন সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ) ও ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান। মঙ্গলবার কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত হয় এ বৈঠক। সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস ও মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মুহম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল-থানির সঙ্গেও গাজা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির মূল চুক্তি অনুযায়ী চার দিনের পর বর্ধিত যুদ্ধবিরতির দু’দিনের প্রথম দিনে এ বৈঠক করেন তারা। এতে মিশরের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, একাধিক হামাস নেতাও কাতারে অবস্থান করছেন। হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সমঝোতার মধ্যস্থতায় নেতৃত্ব দিচ্ছে কাতার। এর আগে, ৯ নভেম্বর বার্নিয়া ও বার্নস কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। এদিকে, যুদ্ধবিরতির পঞ্চম দিনে চুক্তি অনুসারে আরও ১২ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুক্ত ১২ জন ইসরাইলে ফিরে গেছেন। ইসরাইলও ফিলিস্তিনের ৩৩জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। এদিকে, ইসরাইলি সরকারের মুখপাত্র ইয়েলন লেভি যুদ্ধবিরতি বাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় যুদ্ধবিরতি আরও পাঁচদিন বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, ‘বন্দি বিনিময় অব্যাহত রেখে চলমান যুদ্ধবিরতির প্রক্রিয়া আরও পাঁচ দিন বাড়ানো যেতে পারে।’ আরও বলেন, ‘হামাস যদি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে আমরা আরও ৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেব।’ সূত্রের খবর, দুই পক্ষ আরও বেশি সংখ্যায় বন্দি বিনিময়ে রাজি হলেই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হবে।