পুবের কলম প্রতিবেদক: পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম না লেখালে স্বাস্থ্যসাথী সুবিধা পাবেন না ভিন রাজ্যের ডাক্তাররা। এক নিষেধাজ্ঞায় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, স্বাস্থ্য সাথীর আওতায় রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ মেডিকেল কাউন্সিলে নাম লেখানো বাধ্যতামূলক করা হল স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কড়া নির্দেশ, এই নিয়ম না মানলে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে রোগী দেখা যাবে না, জানাল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এক বিবৃত্তিতে বলেছে, ‘অন্য রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে দেখা যাবে না স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের রোগীকে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের রোগী দেখতে হলে থাকতেই হবে বাংলার রেজিস্ট্রেশন। ভিন রাজ্যের রেজিস্ট্রেশন থাকলে নথিভুক্ত করতে হবে ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে’।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর রেওয়াজ আটকাতেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। সরকারি হাসপাতালে কত অস্ত্রোপচার, বেসরকারি হাসপাতালে কত অপারেশন, তার উপরও নজরদারি চালাতে চায় রাজ্য। এ রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত না করা থাকলে, ১ ডিসেম্বর থেকে আর ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পে রোগী দেখা যাবে না। রাজ্যের সব চিকিৎসককে ‘স্বাস্থ্যসাথী’ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ, বাড়তি উপার্জনের লোভে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের, বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অপব্যবহার করছেন এক শ্রেণির অসাধু সরকারি চিকিৎসক। নির্দেশ দেওয়া হয়, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে হাড়ের যে কোনও রকম অস্ত্রোপচার করাতে হলে সরকারি হাসপাতালেই যেতে হবে রোগীকে। কোনও সরকারি হাসপাতালে যদি অর্থপেডিক পরিষেবা পরিকাঠামো না থাকে, তাহলেই একমাত্র রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা যাবে। তার জন্য সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে দিয়ে নির্দিষ্ট ফর্মে রেফারাল সার্টিফিকেট তৈরি করাতে হবে।
এক নির্দেশিকায় স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানান, সরকারি হাসপাতালে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে একই পরিষেবা দিতে বেসরকারি হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে রোগীদের। প্রমাণ মিললে অভিযুদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ।