কৌশিক সালুই, বীরভূমঃ কেন্দ্র সরকারের শ্রম মন্ত্রকের অনুদান দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ তাই কার্যত পঠন-পাঠন শিকেই উঠেছে শিশু শ্রমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলিতে। অবিলম্বে সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দ্রুত পঠন-পাঠন স্বাভাবিক করার দাবি নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং স্মারকলিপি প্রদান সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। বৃহস্পতিবার বীরভূমের সিউড়িতে জেলাশাসক দফতরে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা কেন্দ্র সরকারের শ্রম মন্ত্রকের আর্থিক অনুদানে ৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু শ্রমিকদের জন্য প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খোলা হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে। ঠিক এমনই ২০০৬ সাল থেকে বীরভূম জেলাতে ৯৭ টি এই ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে এবং যেখানে দুজন করে শিক্ষক এবং দুজন করে শিক্ষাকর্মী যুক্ত আছেন। পাশাপাশি প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ৫০ জন করে পড়ুয়া আছে এই জেলার সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। এই শিশু শ্রমিক পড়ুয়াদের জন্য মাসে ৪০০ টাকা দু’বছরের জন্য দেওয়া হবে ঘোষণা ছিল। মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হত। কিন্তু পড়ুয়াদের সেই টাকা ২০১৫’র সালে শেষ বরাদ্দ হয়েছিল কেন্দ্র সরকারের শ্রম মন্ত্রকের পক্ষ থেকে। শিক্ষকদের ভাতা ৭০০০ টাকা ক্লার্কদের ভাতা পাঁচ হাজার টাকা এবং পিওনদের ভাতা ৩৭০০ টাকা ধার্য ছিল। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সেই ভাতা তারা পেয়েছিলেন এবং ২০১৯ সাল থেকে সেই ভাতা আজও বন্ধ। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু শ্রমিক নিয়ে সার্ভে রিপোর্ট দ্রুত কেন্দ্র সরকারের শ্রম মন্ত্রকে পাঠানো, পড়ুয়াদের এবং শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের বকেয়া ভাতা দ্রুত প্রদান, স্কুলগুলিকে পুনরায় চালুর দাবি জানিয়ে এদিন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সিউড়িতে জেলাশাসক কার্যালয় বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং স্মারকলিপি প্রদান করেন। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে যুক্ত নাসিরউদ্দিন শেখ, মিঠুন রূজ বলেন, ” বর্তমান পরিস্থিতিতে শিশু শ্রমিক পঠন-পাঠন কেন্দ্রে যে অচলাবস্থা চলছে তা দ্রুত সমাধান করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার দাবি আমরা জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি”।