দেবশ্রী মজুমদার, রামপুরহাট: শিশুদের আরএসভি বা সিনশিশুল ভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রকোপের আগেই তৎপর হল স্বাস্থ্য দফতর। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে এই জ্বর মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। আনা হচ্ছে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও বাচ্চাদের জন্য পালস অক্সিমিটার এবং রাখা হচ্ছে অক্সিজেনের ব্যবস্থা। এমনিতে রামপুরহাট শিশু বিভাগে উন্নত মানের পরিষেবা আছে। তবে সেই ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হচ্ছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত দশ জন শিশুর সাধারণ সর্দি জ্বরে চিকিৎসা হয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে সারভেলান্স মেডিক্যাল অফিসার ড. দত্ত উত্তরবঙ্গ থেকে মুরারই ব্লক এক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। এদিন বাচ্চাদের সিনশুল ভাইরাস জ্বর নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।
মুরারই ব্লক এক স্বাস্থ্য আধিকারিক আসিফ আহমেদ বলেন, হাসপাতালে রোগী ভর্তি না থাকলেও প্রাইভেট ক্লিনিকে জ্বরে আক্রান্ত বাচ্চাদের দেখা যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে সারভেলান্স মেডিক্যাল অফিসার ড. দত্ত এসেছেন এব্যাপারে পরামর্শ দিতে। উত্তরবঙ্গ থেকে ভিজিট করতে করতে তিনি আসছেন।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, শিশুদের আরএসভি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রকোপ শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে প্রকোপ বেশি। সেই কারণে বুধবার স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে বৈঠকে আমাদের গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। একটু সাবধানতা দরকার। দশ জনের বেশি রোগী সর্দি কাশি জ্বরে আক্রান্ত হলে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। দুই বছরের বয়সের শিশুদের পরিবারের সর্দি জ্বরে আক্রান্তদের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। তারা খাবার বলতে মায়ের দুধ খাবে। তার বেশি বয়সের বাচ্চারা স্বাভাবিক তরল জাতীয় খাবার খাবে। ভাত, ডাল, মাছ খাবে। কোন বাধা নেই। তবে খুব গরম খাবে না। কোলড্রিঙ্কস ছোবে না। এসিতে থাকা চলবে না। প্যারাসিটামল জল খাবে। জল বেশি পরিমাণে খেতে হবে। কোনও অ্যান্টিবায়োটিক নয়। কারণ ভাইরাসে তা কাজে দেবে না। নাক বন্ধ হলে নুন জল বা চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করে ন্যাসাল ড্রপ দিতে হবে। করোনার কথা মাথায় রেখে সাবধান হতে হবে। করোনা, ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গু টেস্ট করতে হবে। সক্রমণ বাড়লে মেডিক্যাল টেস্ট করতে হবে।