পারিজাত মোল্লা: সিবিআই – ইডির পর এবার এনআইএ এর নজরে বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল। ডিটোনেটর পাচার মামলায় জেরার মুখে তিনি। গত বছর বীরভূমে উদ্ধার হয়েছিল ২১ হাজার ডিটোনেটর। সেই মামলাতেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার নজরে জেল হেফাজতে থাকা অনুব্রত মণ্ডল। ওই মামলায় এখনও পর্যন্ত ৩টি চার্জশিট পেশ করেছে এনআইএ। চার্জশিটে অনুব্রতর ভূমিকার উল্লেখ রয়েছে। সর্বমোট ১২ হাজার পাতার চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, অনুব্রতকে জেরা করতে চায় এনআইএ।
অনুব্রতকে জেরার আগে তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেরা করতে চায় এনআইএ। সায়গল হোসেনকে জেরা করতে আদালতে আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে বীরভূম জেলা পুলিসের হাতে ধরা পড়ে ২১ হাজার ডিটোনেটর। ওই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। জানা যায় ঝাড়খণ্ড থেকে বিপুল পরিমান ডিটোনেটর আনা হতো এবং সেগুলিকে বেআইনি পাথার খাদানে বিস্ফোরণের জন্য ব্যবহার করা হতো। ওই মামলায় অনেককেই গ্রেফাতর করা হয়। তদন্ত এগোতেই দেখা যায় নিরাপত্তা দিয়ে যেভাবে বালি, গোরু পাচার করা হতো ঠিক সেই ভাবেই ডিটোনেটার পাচারে সাহায্য করা হতো।
এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা ছিল? তা খতিয়ে দেখতে চায় এনআইএ। এনআইএ সূত্রে প্রকাশ , গত ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে তারা ওই মামলার তদন্তভার নিয়েছে। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৯ জনের বিরুদ্ধে ৩টি চার্জশিট পেশ করেছে। পাশাপাশি পেশ করা হয়েছে ২টি সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট। সেই চার্জশিটের একাধিক জায়গায় অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকার কথা উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গেছে ।
কীভাবে ঝাড়খণ্ড থেকে বাধাহীনভাবে ডিটোনেটার বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছবে এবং ক্রমে তা বেআইনি পাথর খাদানগুলির কাছে পৌঁছবে তার যে ব্যবস্থা হতো তাতে অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা কথা উঠে এসেছে। সেই কারণে এনআইএর স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত মণ্ডলকে জেরার আগে সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় এনআইএ। তারপর অনুব্রত মন্ডল কে জেরা করতে চায় তারা।বর্তমানে দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত – সায়গল।