পুবের কলম প্রতিবেদক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউটাউন ক্যাম্পাসে একদিনের ডিজে সহ সংস্কৃতিক প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। বহু বিতর্কের মাঝেও কিছু প্রাক্তনী পড়ুয়া আলিয়া কর্তৃপক্ষের নিষেধকে তোয়াক্কা করেনি। উপরন্তু তাদের জেদকে জারি রেখে গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শনিবার রাতে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ডিজে অনুষ্ঠান বন্ধের জন্য বার বার অনুরোধ জানায় পড়ুয়াদের একাংশ। কিন্তু তাতে তেমন কোনও লাভ হয়নি। শনিবার সন্ধ্যে ৬ টার পর শুরু হয় অনুষ্ঠান। চলে অনেক রাত পর্যন্ত। সিকিউরিটি থাকলেও ছিল না কোনও শিক্ষক বা অভিভাবক। সাড়ে আটটায় যেখানে ক্যাম্পাসের হস্টেল বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে, রাত ১০ টা পর্যন্ত সমস্ত ছাত্র ও ছাত্রীদের উপস্থিত থাকার জন্য হস্টেল খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এদিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অনেকেই বহিরাগত। আর এতে আপত্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও পড়ুয়াদের মধ্যে।
আলিয়ার গবেষক মীর সিদ্দিকি বলেন, এই ধরণের অপসংস্কৃতি আলিয়ার জন্য নয়। অ্যান্টি তৃণমূল গ্রুপ আলিয়ার সংস্কৃতি নিয়ে নোংরামি করছে। তবে পড়ুয়াদের একাংশের বক্তব্য, টিএমসির দুটি গ্রুপ রয়েছে। তার মধ্যে প্রাক্তনী পরিচালিত একটি গ্রুপ এই অনুষ্ঠান করছে। আর এতে ক্ষুদ্ধ অধিকাংশ পড়ুয়া, অধ্যাপকরা।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মাপকাঠি গৌরবময় করার জন্য সংস্কৃতি চর্চা জরুরী। সংস্কৃতির ধারণাও বহুমুখী। আলিয়াতে সংস্কৃতি চর্চার নামে যা হচ্ছে আলিয়ার ঐতিহ্য এর প্রেক্ষিতে তাকে অপসংস্কৃতি বলা যায়। আলিয়ার মতো প্রতিষ্ঠানে তা মানানসই নয়। যারা আয়োজক তারাও জানে এই ব্যাপারটা। কিন্তু ওদের অভিসন্ধি নবাগতদের গান বাজনায় মাতিয়ে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় দখলে রাখা।”
আবার অধ্যাপকদের একাংশ অবশ্য ছুটির দিনে নাইট প্রোগ্রামকে সাপোর্ট করছে। তাদের বক্তব্য, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে তো এই ধরনের প্রোগ্রাম হয়।
রেজিস্ট্রার নুরুস সালাম বলেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন রয়েছে। কোনও সমস্যা হলেই ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।