পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে ব্রাজিলকে হারিয়ে জয়ের সরণীতে ফিরল লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। মারাকানা স্টেডিয়ামে এক লক্ষেরও বেশি দর্শকের সামনে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে একমাত্র গোলটি করলেন নিকোলাস ওটামেন্ডি। ব্রাজিলের ঘরের মাঠে ম্যাচ। তাই শুরু থেকেই ম্যাচে উত্তেজনা ছিল প্রবল। ম্যাচ শুরুর আগেই ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে কিছুটা সামাল দেয়। গ্যালারিতে সেই হাতাহাতির রেশ এসে পড়ে মাঠেও। ম্যাচ শুরুর আগেই মাথা গরম করে ফেলেন ব্রাজিলের রডরিগো ও লিওনেল মেসি। ম্যাচের প্রথম অর্থটা যদি হয়ে থাকে ব্রাজিলের, তাহলে দ্বিতীয় অর্থটা নিঃসন্দেহেই আর্জেন্টিনার। প্রথম অর্ধে বেশ কিছু ভালো সুযোগ মিস করেছিল ব্রাজিল। ফের ফের একবার এমিলিযেনো মার্টিনেজের দুর্দান্ত গোলকিপিং দেখল মারাকানা ও ফুটবল বিশ্ব। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে সেট পিস থেকে অল্পের জন্য গোল মিস করেন ব্রাজিলের রাফিনা। আর্জেন্টিনা ডিফেন্স ব্রাজিলের আক্রমণকে ভালই সামাল দিল। যদিও সেখানে আকাশী সাদা ব্রিগেডের রক্ষণে কিছু ফাঁকও খুঁজে পাওয়া গেছে। কিন্তু মলিনা ওটামেন্ডিদের দক্ষতায় গোল পায়নি ব্রাজিল।
দ্বিতীয় অধ্যায়ের শুরু থেকেই তেড়ে ফুড়ে ওঠে আর্জেন্টিনা। যদিও ব্রাজিল এই সময়টায় বেশ কিছু প্রতি আক্রমণ সানিয়েছিল। কিন্তু যেখানে এমিলিয়েনো মার্টিনেজের মতো গোলকিপার রয়েছে, সেখানে ব্রাজিলের গোল দেওয়াটা প্রায় অসম্ভব ছিল। ম্যাচের বাষট্টি মিনিটে লো সেলসোর কর্নার থেকে ওটামেন্ডি দুর্দান্ত হেডে ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়ে দিলেন। ৭৭ মিনিটে মেসির জায়গায় নামলেন এঞ্জেল ডি মারিয়া। ৮০ মিনিটে বল নিয়ে যাবার সময় আর্জেন্টিনার ডি পলকে মুখে আঘাত করেন ব্রাজিলের স্ট্রাইকার জুয়েলিনটন। রেফারি তাকে লাল কার্ড দেখান। এরপরই ব্রাজিল সমর্থকরা ধীরে ধীরে মারাকানা ছাড়তে থাকেন। বাকি সময়টা ব্রাজিল ১০ জনে খেললো। শেষ পর্যন্ত তিনটে পয়েন্ট নিয়ে মারাকানা থেকে ফিরল আর্জেন্টিনা। এই জয়ের ফলে ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে উরুগুয়েকে টপকে আপাতত আর্জেন্টিনা গ্রুপ শীর্ষে। আর নিজেদের ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার কাছে এই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে নিজেদের অবস্থান আরো কঠিন করে ফেলল ব্রাজিল। তারা নেমে গেল ৬ নম্বরে ।