পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্র মালদ্বীপের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ গ্রহণ করেছেন মুহম্মদ মুইজ্জু। রাজধানী মালেতে আয়োজিত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বহু দেশের নেতা-মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হলেও ভারতের তরফে এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরন রিজিজু। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শপথ বাক্য পাঠ করান দেশটির প্রধান বিচারপতি আহমেদ মুথাসিম আদনান।
শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু শপথপত্রে স্বাক্ষর করেন এবং প্রধান বিচারপতি ও মজলিসের স্পিকারও সাক্ষী হিসাবে স্বাক্ষর করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাসান মাহমুদ যোদ দেন। এই অনু্ষ্ঠানে মোট ৪৬টি দেশের প্রধান, বিদেশমন্ত্রী বা বিশেষ দূত উপস্থিত ছিলেন।
এই অনুষ্ঠানেই নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন হুসেইন মুহম্মদ লতিফও। তিনি দেশটির দশম ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথপত্রে স্বাক্ষর করেন। প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী (এমএনডিএফ) ২১ বন্দুকের স্যালুট ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মুহম্মদ সোলিহ ও তার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
সংসদ সদস্যরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ। সংসদ স্পিকার মুহম্মদ আসলামের উপস্থিতিতে গণ মজলিসের বিশেষ সমাবেশে মুহম্মদ মুইজ্জু তাঁর উদ্বোধনী ভাষণ দেন। দেশের অষ্টম প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম বিবৃতিতে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি ও মেয়াদের পরিকল্পনার উপর আলোকপাত করেন মুইজ্জু।
প্রসঙ্গত, নির্বাচিত হয়েই মুইজ্জু জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে। কেননা স্বাধীন দেশ হয়ে উঠতে চান তাঁরা। অবশ্য, মুইজ্জুর নির্বাচনী সাফল্যের অন্যতম কারণ ছিল ভারত বিরোধিতা। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে দেশ থেকে সরানো হবে ভারতীয় সেনাকে। সম্প্রতি অবশ্য তিনি জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনার বিকল্প হিসেবে দেশে চিনের সেনাকেও চান না তাঁরা।