আইভি আদক, হাওড়া: অনেক অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে বাংলায় সরকার কাজ করছে। তবে আমরা পরিষেবার সঙ্গে কোনও আপস করিনি, হাওড়ায় বললেন চন্দ্রিমা।শুক্রবার বেলুড়ে এক অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের ২ মার্চ যোগা ন্যাচারোপাথি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৪ বছর পর এই কলেজে তৈরি হয়েছে। এখানে নিট উত্তীর্ণ ৫০টি সিটের মধ্যে ৪৬ জন ভর্তি হয়ে গিয়েছেন। এর থেকেই বোঝা যায় আগামী দিনে এখানে আরও বেশি চাহিদা থাকবে।
পূর্ব ভারতে এই ধরনের মেডিকেল কলেজ এটি প্রথম তৈরি হল। এই কলেজ আগামী দিন বিকল্প পরিষেবায় সারা পৃথিবীকে পথ দেখাবে। এখানে অবৈতনিক শিক্ষা দেওয়া হবে। এখানে মোট ১২০টি বেডের মধ্যে ৬০টি পুরুষ এবং ৬০টি মহিলাদের জন্য থাকছে। আধুনিক ব্যবস্থাকে সামনে রেখে আয়ুষ পুরাতন বিজ্ঞানের উপর নির্ভর করে আয়ুর্বেদ, যোগা, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি এইসব ব্যবস্থা এখানে রয়েছে। ইতিমধ্যে এখানে আয়ুর্বেদ চলছে। এখানে খুব ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে। অনেক অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে এই সরকার কাজ করছে। তবে আমরা পরিষেবার সঙ্গে কোনও আপস করিনা। স্বাস্থ্য পরিষেবায় সম্পূর্ণ আইন তৈরি করা থেকে শুরু করে সব কিছু আমাদের অধিকার। অনেক সময় অনেকে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে থাকে। এটা কাম্য নয়। যে সব অসুবিধার কথা উঠে আসবে তা দেখা হবে।
মধ্যপ্রদেশের ভোট প্রসঙ্গে এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘ইন্ডিয়া’ জোটের জোর দেখা যাবে। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, কেন্দ্রের কাছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে। এর মধ্যে অর্থনৈতিক সমস্যা আছে। তবে দেখে নেওয়া হবে কি সমস্যা আছে। প্রসঙ্গত, পূর্ব ভারতে এই প্রথম বেলুড়ে চালু হল যোগ ও ন্যাচোরোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। গত ২০১৯ সালের ২ মার্চ এই কলেজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন প্রায় ৭০ কোটি টাকায় নির্মিত যোগা ও ন্যাচোরোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ যোগশ্রীর আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বেলুড় স্টেশন সংলগ্ন বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পাশেই গড়ে উঠেছে এই যোগ ও ন্যাচোরোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ।
এই বছরেই কলেজে নীট এর মাধ্যমে ৪৬ জন ছাত্রছাত্রী বিএনওয়াইএস অর্থাৎ ব্যাচেলর অফ ন্যাচোরোপ্যাথি অ্যান্ড যোগিক সায়েন্সেস কোর্সে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে। এই কলেজে প্রতিবছর ৫০ জন করে ছাত্রছাত্রী এই কোর্স পড়ার জন্য ভর্তির সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি থাকছে ১২০ জন রোগীর এখানে ভর্তি থেকে চিকিৎসার সুযোগও। এখানে ইতিমধ্যেই বহির্বিভাগে রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন।
এখন থেকে যোগ ও ন্যাচোরোপ্যাথি চিকিৎসার সবরকম সুযোগও মিলবে এখান থেকেই। এদিনের অনুষ্ঠানে এসে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পূর্ব ভারতে প্রথম ও বেলুড়ের মত পুণ্যজনের পদধূলি ধন্য জায়গায় এই ধরনের কলেজ গড়ে তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও যোগ ও ন্যাচোরোপ্যাথি কাউন্সিলের সেক্রেটারি তুষার শীল ও বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।