পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য সেনার। নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত ৫ লস্কর জঙ্গি। দু’দিন ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার সামনো এলাকায় ভারতীয় সেনার ৩৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস, ৯ আধাসামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং সিআরপিএফ একযোগে জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চালায়। সেই অভিযানে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে পাঁচ জঙ্গি। অভিযান এখনও জারি আছে।
সামনো এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে গোপন সূত্রে বৃহস্পতিবার তল্লাশি অভিযান শুরু করে সেনা ও পুলিশ। তাঁরা এলাকায় পৌঁছতেই অতর্কিতে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। বৃহস্পতিবার রাতে গুলির লড়াই থেমে যায়। এরপর এদিন ফের শুরু হয় অভিযান। আরও কয়েকজনের লুকিয়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সেনা কর্মকর্তারা জানান, এই বছরের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের মধ্যে, নিরাপত্তা বাহিনী শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় পাঁচ লস্কর-ই তৈইবা (এলইটি) জঙ্গিকে হত্যা করেছে। কাশ্মীর জোন পুলিশ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, কুলগাম পুলিশ, সেনা, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী যৌথ বাহিনীর এনকাউন্টারে পাঁচ লস্কর ই তৈইবা জঙ্গি নিহত হয়েছে। অপরাধমূলক সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে।’বুধবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লা জেলার উরি সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর দু’জন জঙ্গি নিহত হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরে সর্বশেষ এনকাউন্টারটি ছিল এটি। পাহাড় ও জঙ্গল ঘেরা এলাকায় আরও জঙ্গি লুকিয়ে থাকতে পারে, এই আশঙ্কায় জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। তবে, দুই দিন ধরে এই সংঘর্ষের ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর কেউ হাতহত হয়নি বলে জানা গেছে। কুলগাম জেলার সামনোর ধমহাল হাঞ্জি পোরা এলাকা জঙ্গি উপদ্রুত এলাকা বলেই পরিচিত। দুই দিনে পাঁচ লস্কর জঙ্গি নিহতের ঘটনাকে সম্প্রতি নিরাপত্তা বাহিনীর বড়সড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে, গত সপ্তাহে সোপিয়ানে সেনা ও কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানের সময় এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল।