পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: সংসদের ইতিহাসে লেখা থাকবে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের নাম। ৭৭ বছর আগে স্বাধীন হয়েছে দেশ।কিন্তু সংসদের লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড সাংসদ ছাড়া অন্য কেউ ব্যবহার করতে পারবেন কিনা বা তাঁদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন অন্য কেউ লিখে দিতে পারবে কিনা এই নিয়ে কোনও লিখিত নিয়ম ছিল না। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে নালিশ করেছিলেন, মহুয়া তাঁর লগ ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছেন ব্যবসায়ী দর্শন হিরানন্দানির সঙ্গে।উত্তরে মহুয়া জানান, হিরানন্দানির অফিস থেকে তিনি প্রশ্ন টাইপ করিয়েছিলেন, আর তাতে কোনও অপরাধ নেই। তাছাড়া কোথাও এমন নিয়মের কথা লেখাও নেই যে সংসদের লগ ইন আইডি অন্য কোনও জায়গায় বসে খোলা যাবে না। মহুয়া বলেন, বেশিরভাগ সাংসদই নিজেদের প্রশ্ন নিজে লেখেন না।
সত্যিই তো! এমন তো কোনও আইন নেই সাংসদদের জন্যে, যে তাদেরকে নিজেদের প্রশ্ন নিজেদেরকেই টাইপ করতে হবে। মহুয়ার তোলা প্রশ্নের জেরে বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে সংসদে।
সূত্রের খবর শীতকালীন অধিবেশনে নতুন নিয়ম চালু করতে পারে সংসদ। এবার থেকে সাংসদদের নিজেদের প্রশ্ন নিজেদেরকেই টাইপ করতে হবে। নিজেদের পিএ (আপ্ত সহায়ক)–র মাধ্যমেও প্রশ্ন টাইপ করানো যাবে না। সূত্রের মতে, এই নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে বড় ঘোষণা করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, ক্যাশ ফর কোয়্যেরি ইস্যুতে শীতকালীন অধিবেশনে মহুয়া মৈত্রর যাতে সাংসদ পদ খারিজ করা হয়, তার জন্য সওয়াল করেছে এথিক্স কমিটি।এর পর স্পিকার ওম বিড়লা ঠিক করবেন, সংসদে থাকবেন মহুয়া নাকি তাঁকে সাসপেন্ড করা হবে। মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। এর জন্য আদানির প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী হিরানন্দানী অর্থ দিয়েছিলেন তাঁকে। যদিও এই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মহুয়া।