পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে সমস্ত বেঞ্চে বিচারপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়। মূলত তাঁর নির্দেশেই প্রাথমিক থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশন, সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি ও সিবিআই। এবার এক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলাতেই বিচারপতি এজলাসে জানান, ‘গরিবের কথা এবার একটু ভাবতে হবে।’ একদিকে যখন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা যখন রাস্তায় বসে আন্দোলন চালাচ্ছেন, তখন বিচারপতির এই মন্তব্য যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আদালত সুত্রে প্রকাশ, উত্তর ২৪ পরগনার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন সলেনা খাতুন। গত ২০১৮ সালে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। মায়ের মৃত্যুর পরে ছেলে শেখ সাহিল ওই জায়গায় নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। পরে তা খারিজ করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই চাকরির আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই যুবক। সেই মামলাতেই এদিন এই মন্তব্য করেছেন বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়।
বিচারপতি এদিন এজলাসে সওয়াল-জবাব পর্বে জানান, “আইভরি টাওয়ারে বসে বিচার করলে চলবে না। অনেক হয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে। গরিবের কথা একটু তো ভাবতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “দরিদ্রের চোখের জলের হিসেব কেউ নেয়নি। এবার হিসেব নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।” বিচারপতি বলেন, ”আইভরি টাওয়ারে বসে আর কত দিন বিচার চলবে?” তাঁর কথায়, ”মায়ের মৃত্যু হয়েছে, ওই সংসারের কী হবে? মায়ের চাকরি ছেলেকে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আর এমন চাকরি দেওয়ার নিয়মও রয়েছে। নিয়মের মধ্যে থেকে কেউ আবেদন করলে তাতে কেন বাধা তৈরি হবে?” সেই সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, ”দরিদ্রের চোখের জলের হিসাব কেউ নেননি। এ বার সেই হিসাব নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে।”
২০১৮ সালে অসুস্থতার কারণে মারা যায় উত্তর ২৪ পরগনার একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সলেনা খাতুন। ওই শিক্ষিকার মৃত্যুর পর তাঁর ছেলে শেখ সাহিল ‘কমপ্যাশনেট’ নিয়োগের জন্য আবেদন জানান। কিন্তু তা খারিজ করে দেয় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এর পরেই মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।আগামী ২৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে