পূবের কলম, ওয়েবডেস্ক: টানা ১০ বছর সেনাদের সঙ্গে দীপাবলি উদযাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার এক্স-এ মোদি লেখেন আমি হিমাচলে এসেছি সাহসী জওয়ানদের সঙ্গে দেওয়ালি উদযাপন করতে। তিনি বলেন, যেখানে ভারতীয় সেনা মোতায়েন রয়েছে সেটা মন্দিরের চেয়ে কম নয়। হিমাচল প্রদেশের লাহুর-স্ফিতি জেলার লেপচা চেকপোস্ট চিনা সীমান্ত থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত।ইন্দো -তিব্বত বর্ডার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর জওয়ানরা এখানে মোতায়েন রয়েছে। এই চেকপোস্টের নিচে চিনা গ্রাম। যেখানে চিনা ফৌজ মোতায়েন রয়েছে। হিমাচল প্রদেশ, চিনের সঙ্গে ২৬০ কিমি বর্ডার শেয়ার করে। এরমধ্যে ১৪০ কিমি কিন্নৌর এবং ৮০ কিমি লাহুর-স্ফিতি জেলায়। এখানে চিনা সীমান্তে ভারতের মোট ২০টি পোস্ট রয়েছে।
২০১৪ সালে সরকারে আসার পর মোদি দিওয়ালি উদযাপনে সিয়াচেন গিয়েছিলেন। মোদি বলেন, আমি জওয়ানদের সঙ্গেই দিওয়ালির আন¨ উপভোগ করি। জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করার সময় দেশবাসীকে দেওয়া শুভেচ্ছাও বিশেষ হয়ে ওঠে। তিনি জানান, গত ৩০-৩৫ বছর আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম না তাই দিওয়ালিও পালন করিনি। আমি যখন পিএম বা সিএম ছিলাম না, তখনও আমি সীমান্তে জওয়ানদের সঙ্গেই দেওয়ালির আন¨ উপভোগ করতাম। বলা হয় যেখানে পরিবার সেখানেই পার্বণ। উৎসবের দিনে পরিবার থেকে দূরে থাকাটাই কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠার পরিচয়। তা সত্ত্বেও আপনাদের উদ্যোমের কোনও খামতি নেই। দেশের তরুণরা উৎসাহে ভরপুর।
তিনি জওয়ানদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। ১৪০ কোটি দেশবাসীর পরিবারও আপনাদেরই পরিবার। তাই দেওয়ালিতে ঘরে-ঘরে দীপ জ্বালানো হয় আপনাদের মঙ্গলের জন্যই। প্রতিটি পুজোয় আপনাদের মতো বীরদের জন্য প্রার্থনা থাকে। তিনি বলেন, বলা হয় রাম যেখানে উপস্থিত থাকেন সেটাই অযোধ্যা। আমার কাছে ভারতীয় সেনারা যেখানে যেখানে মোতায়েন রয়েছে, সে জায়গায় মন্দিরের চেয়ে কম নয়।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই মোদি প্রতি বছরই সেনাদের মধ্যে দীপাবলি উদযাপন করতে আসছেন। তিনি সর্বোচ্চ পাঁচবার কাশ্মীর, ২ বার হিমাচল প্রদেশে, উত্তরাখণ্ডে ১ বার এবং রাজস্থানের জয়সলমিরে এবং পঞ্জাবের অমৃতসরে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেছিলেন।