আবদুল ওদুদ
রাজ্য সরকারের সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে থাকা রাজ্য সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের উদ্যোগে প্রতিবছর শত শত ছেলেমেয়েকে কারিগরি শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম রাজ্য সরকারের অন্যতম সংস্থা। এমএসএমই সেন্ট্রাল টুল রুম-এ প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বিত্ত নিগম। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন সংস্থায় কাজের সুযোগ পাচ্ছেন বহু তরুণ। এমএসএমই থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে রাজ্যস্তরে প্রথম হলেন বারাকপুরের নয়া বস্তির আহমেদ হুসেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর বরাহনগরের বনহুগলির এমএসএমই প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাসে এক অনুষ্ঠানে আহমেদ হুসেনকে গোল্ড মেডের দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এমএসএমই-র পক্ষ থেকে সেদিন তাকে চেক– গোল্ড মেডেল ও সার্টিফিকেট দিয়ে পুরস্কৃত করেন আধিকারিকরা। এর পর ইস্টার্ন রিজিওনাল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রথম হলে ২০২২ সালে চিনের সাংহায় যাওয়ার সুযোগ মিলবে।
সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়– সেই সমস্ত বিষয়ের ৬টি বিভাগের সফলদের পুরস্টৃñত করা হয়। ৬টি বিভাগের মধ্যে ছিল নির্মাণ ও ভবন প্রযুক্তি– পরিবহণ ও লজিস্ট্রিক– ম্যানুফ্যাকচারিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনলজি– ইনফরমেশন ও কমিউনিকেশন টেকনলজি– ক্রিয়েটিভ আর্টস ও ফ্যাশন– সোশ্যাল ও পার্সোনাল সার্ভিস।
সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের ব্যবস্থাপনায় প্রশিক্ষণ নেওয়া আহমেদ হুসেন ওয়েলডিং ট্রেড- প্রথম স্থান অধিকার করেন। প্রতি ২ বছর অন্তর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রতিযোগিতায় দেখা হয় মানদণ্ড ও পেশাগত মূল্যায়ন। সবক্ষেত্রেই আহমেদ হুসেন তাঁর যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পেরে প্রথম স্থানে অধিকার করেন। কলকাতার বনহুগলির এমএসএমই সেন্ট্রাল টুল রুম ও ট্রেনিং সেন্টারে বিভিন্ন কারিগরি কোর্সে দীর্ঘমেয়াদি স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম সংখ্যালঘু যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। বিত্ত নিগম সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের যাবতীয় খরচ বহন করেন। সেন্টারের নিজস্ব ক্যাম্পাস ও হস্টেল রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্লেসমেন্টের ব্যবস্থাও করা হয়। ওয়েল্ডিং টেকনলজির উপর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন আহমেদ হুসেন। বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ১২ মাসের এই কোর্সে দশম শ্রেণি পাশ বা আইটিআই উত্তীর্ণরা করতে পারেন।
আহমেদ হুসেন রাজ্যভিত্তিক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। এরপর ইস্টার্ন রিজিওনাল-কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রথম স্থান ধরে রাখতে পারলে ওয়ার্ল্ড স্কিল কম্পিটিশনে যাওয়ার ছাড়পত্র পাবেন। ২০২২ সালে চিনের সাংহাইতে ওয়াল্ড স্কিল কম্পিটিশনের আসর বসবে। সেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করবেন।