পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: গাজার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হল বেলজিয়াম। ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ´ান জানিয়েছেন বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার। একইসঙ্গে গাজার হাসপাতাল ও শরণার্থী শিবিরগুলোতে বোমা বর্ষণের ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ইসরাইলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সময় এসেছে। নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো অমানবিক। যুদ্ধটি ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী পর্বে পরিণত হয়েছে। উপ-প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক যে দাবি উঠেছে সেটি নিয়েও মাথা ঘামাতে রাজি নয় ইসরাইল। বেলজিয়ামের উপ-প্রধানমন্ত্রী পেট্রা ডি সাটার ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচিত অবিলম্বে ইসরাইলের সঙ্গে তার অ্যাসোসিয়েশন চুক্তি স্থগিত করা। সেইসঙ্গে অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চল থেকে পণ্যের আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা-সহ যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী সহিংস বসতি স্থাপনকারী, রাজনীতিবিদ, সৈন্যদের ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) প্রবেশ নিষিদ্ধ করা উচিত।
এর আগে এমন দাবি জানিয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেন। এক সাক্ষাৎকারে স্পেনের সামাজিক অধিকার বিষয়ক মন্ত্রী এবং পোডেমোস পার্টির নেতা আইওন বেলারা ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ´ান জানিয়েছেন। এ সময় তিনি গাজায় ফিলিস্তিনিদের ‘পরিকল্পিত গণহত্যায়’ ইসরাইলকে অভিযুক্ত করেন। বিশ্ব নেতাদের দ্বৈত-নীতির নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ইউক্রেনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা করা হয়েছে, কিন্তু ইসরাইলি বোমা হামলার বিষয়ে ‘নীরবতা’ পালন করছে বিশ্ব। ইসরাইলি রাষ্ট্রকে অবশ্যই ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পিত গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যান্য সংঘাতে মানবাধিকারের বার্তা দিতে পারি কিন্তু এখানে কেন দিতে পারি না। এখানে হাজার হাজার শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। মায়ের সামনে সন্তানদের হত্যা করা হচ্ছে। মা মরিয়া হয়ে চিৎকার করছে। এই ভয়ংকর দৃশ্য কি বিশ্ব দেখছে না?’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের গাজায় গত একমাসের বেশি সময় ধরে বোমারু বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে গেছে। হাসপাতাল থেকে শরণার্থী শিবির, ত্রাণ পরিবহণকারী ট্রাকও এই হামলার থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে। তবে এই পরিস্থিতিতেও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার বিষয় অনড় নেতানিয়াহু সরকার।