পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পেঁয়াজের ঝাঁঝের মতো মতোই নির্বাচনী প্রচারে নেমে উত্তাপ বাড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার ছত্তিশগঢ়ের প্রচার থেকেই আরও পাঁচ বছর বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মোদি। আর রবিবার মধ্যপ্রদেশের সোনি জেলা থেকে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। নির্বাচনী প্রচার থেকে মোদি বলেন, দুই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তাদের ছেলেদের প্রতিষ্ঠা করতে, মধ্যপ্রদেশে দল দখলের লড়াইতে নেমেছেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ও দিগ্বিজয় সিংয়ের মধ্যে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। দিগ্বিজয় সিং এই ভিডিয়ো পোস্ট করেন।ভিডিয়োতে কমল নাথ বলেন, যদি প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের কর্মীরা সন্তুষ্ট না হন তবে তাঁরা যেন দিগ্বিজয় সিংয়ের জামা ছিঁড়ে দেন।
সেই ভিডিয়োর জের টেনেই মোদি বলেন, কংগ্রেস রাজ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না, তবে তার দুই বড় নেতা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছেন। তবে দুই মুখ্যমন্ত্রী ১৭ নভেম্বর রাজ্য নির্বাচনের আগে একটি ঐক্যবদ্ধ মুখ হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এদিন মোদি বলেন, স্বাধীনতার পরে আরও পাঁচ-ছয় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পরেও আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য কিছুই করেনি কংগ্রেস। প্রচারে গিয়ে রেশনের প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি করোনাকালে দেশবাসীর প্রতি মোদি সরকারের সহযোগিতার তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মোদি বলেন, কোভিড সংকটকালে আমাকে সব থেকে বেশি দুঃখ দিয়েছিলে দরিদ্র মানুষের অবস্থা। মানুষ সেই সময় ঘর থেকে বের হতে পারেনি, শিশুদের খাদ্য যোগান কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় কঠিন পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। কেন্দ্র ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনা’ শুরু করে, যাতে এই প্রকল্পে ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পায়। মোদি বলেন, আমি একজন দরিদ্র পরিবারের সন্তান, তাই আমি তাদের সমস্যা বুঝি। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য কেন্দ্রের তরফে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
ফের তীব্র কটাক্ষ করে মোদি বলেন, কংগ্রেসের শাসনামলে লক্ষ লক্ষ এবং কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছিল, কিন্তু বিজেপি সরকারের আমলে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। সঞ্চিত অর্থ দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার জন্য ব্যয় করা হচ্ছে।
মোদি বলেন, এখন দেশে মোবাইলের ফোনের দাম কমার পাশাপাশি পরিষেবাও অনেক সহজলভ্য হয়েছে। সরকারের জনঔষধ কেন্দ্রগুলি থেকে ওষুধের উপর ৮০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। ভারতের কৃষকরা প্রতি ব্যাগ ইউরিয়া ৩০০ টাকায় পাচ্ছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাষিদের খরচের চেয়ে ১০ গুণ কম।