পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ বারবার নোট বন্দি করে দেশের মানুষকে বিপদে ফেলতে পছন্দ করে মোদি সরকার। দেশ থেকে দুর্নীতিকে ঝেটিয়ে বিদায় করতেই নাকি এটা করা হয়! ২০০০ টাকার নোট বাতিল হয়েছিল দেশে। তা নিয়ে কয়েকমাস থেকেই ভুগছে জনতা। ভুবনেশ্বরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সামনে ২০০০ টাকার নোট বদলের জন্য লম্বা লাইন। সেখানেও দুর্নীতির গন্ধ। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা ওড়িশা পুলিশের আর্থিক অপরাধ দমন শাখার (ইওডব্লিই) প্রশ্নের মুখে। সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্ট অনুযায়ী অভিযোগ উঠেছে, অনেকে দৈনিক প্রায় ৩০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে কিছু মানুষকে দিয়ে ২ হাজারের নোট জমা ও বদলের কাজ করাচ্ছেন। নিজেরা লাইনে দাঁড়াচ্ছেন না।
কারও কাছে হয়তো প্রচুর ‘কালো’ টাকা আছে ২ হাজারের নোটে। সে একাধিক ব্যক্তিকে এই কাজে নিয়োগ করছে। এরই তদন্ত করতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতরে যায় ইওডব্লিউ-এর দল। তাদের এক অধিকারিক জানান, লাইনে দাঁড়ানো সকলের নাম-ধাম, পেশা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। আধার কার্ড যাচাই করে দেখা হয়েছে। তার মতে, নিয়ম অনুযায়ী একলল্পে ১০টি ২ হাজার টাকার নোট অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা বদলে নেওয়া যাবে ঠিকই। কিন্তু লাইনে দাঁড়ানো প্রত্যেক ব্যক্তির হাতে শুধু ১০টি করেই নোট রয়েছে দেখে সন্দেহ হচ্ছে। কারও হাতে একটাও বেশি বা কম নেই। সকলে নিজের টাকা জমা দিলে এটা কী করে হতে পারে, প্রশ্ন তার। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দফতরের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন অপরাধ দমন শাখার অফিসাররা।
সুমিতা নায়েক (৬১) নামের একজন মহিলা জানাচ্ছেন, আমি যে ফ্যাক্টরিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করি সেখানকার ‘বাবু’ আমাকে এই দশটি নোট দিয়েছেন এবং ব্যাঙ্কে এসে বদলে নিতে বলেছেন। আমাকে এ জন্য টাকাও দেবেন বলেছেন। প্রসঙ্গত, ২ হাজার টাকার নোট জমা ও এক্সচেঞ্জ করার শেষ তারিখ ছিল ৭ অক্টোবর। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এখনও সেটা চলছে। তাই সবাই ভিড় জমাচ্ছেন সেখানেই।