পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সলিডারিটি ইউথ মুভমেন্ট, জামায়াতে ইসলামি হিন্দু ও কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনের ডাকা ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশের সভা বন্ধ করে দিল কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারের পুলিশ। বেঙ্গালুরুর কুইন্স রোডে বিআইএফটি ভবনের মেইন গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যায় পুলিশ। বিকেলে অডিটোরিয়ামে সভা ও সেমিনার হওয়ার কথা। আর সকালে তালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশর বক্তব্য এখানে স্থানীয় কোনও পার্বণ রয়েছে তাই মঙ্গলবার এই সভার অনুমতি দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার সভা করার কথা বলা হয়।
সামাজিক কর্মকর্তা ও প্রধান বক্তা শিবসুন্দর, কর্নাটক প্রদেশ জামায়াতে ইসলামির সভাপতি ডা. মুহাম্মদ সাদ বেলগামি, হিউম্যানন রাইটস আইনজীবী ও কর্মকর্তা বিটি ভেঙ্কটেশ এবং সলিডারিটি ইয়ুথ মুভমেন্টের সভাপতি নাবিদ সাফি সেখানে উপস্থিত হন। তারা জানতে পারেন হল কর্তৃপক্ষর কাছ থেকে চাবি নিয়ে চলে গেছে পুলিশ। পরে থানায় ডাকা হয় উদ্যোক্তাদের।
সেখানে বলা হয় রাজতসভা পর্ব চলছে তাই এই সভার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে সভায় নিমন্ত্রণ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয় এই সভা হচ্ছে না। পুলিশের এই ভূমিকায় উদ্যোক্তারা বেকায়দায় পড়ে যায়। কংগ্রেসশাসিত এক রাজ্যে ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে সভা করা যাবে না এই ঘটনায় বিস্মিত সবাই।
জামায়াতে জানায় ফিলিস্তিন নিয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রথম সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধি ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধি সাংবাদিক বৈঠক করে ইসরাইলের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। যুদ্ধ বিরতির আহ্বান জানাচ্ছেন তারা, অথচ রাজ্যে কার্যত শোকসভার অনুমতি দিতে চাইল না পুলিশ। কেন্দ্রের মোদি সরকারও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছে তাই প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের কর্নাটক ইউনিট এমন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে গেল কেন। তাহলে কি পুলিশের উপর সঠিক নিয়ন্ত্রণ নেই সিদ্ধারামাইয়া সরকারের।